যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, মিশরের প্রেসিডেন্ট আস-সিসি ত্রাণসামগ্রী ভর্তি ২০টি ট্রাক গাজায় পাঠাতে রাজি হয়েছে। তবে এই ত্রাণ পাঠাতে পাঠাতে শুক্রবার পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি। কারণ গাজার সঙ্গে মিশরের রাফাহ সীমান্তের সড়ক মেরামতে কাজ করতে হবে।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার হামাস আক্রমণ করার পর ইসরায়েল সেখানে জল, ওষুধ ও খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ইসরায়েলে সংক্ষিপ্ত সফর শেষ করে দেশে ফেরার সময় বাইডেন বলেছেন, ‘এই ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দেয়ার জন্য সিসিকে ধন্যবাদ দিতেই হবে।‘ তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘হামাস যদি এই ত্রাণসামগ্রী কেড়ে নেয় তাহলে এভাবে আর কোনো ত্রাণ পাঠানো হবে না।’
সিসি জানিয়ে দিয়েছেন, গাজা থেকে খুব বেশি বাস্তুচ্যুতকে সীমান্ত পেরিয়ে আসতে দেবেন না তিনি। তাহলে তা একটি নজির হয়ে থাকবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান জানিয়েছেন, ‘গাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সবদিক থেকে সহিংসতা বন্ধ হওয়া দরকার।’
গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণ ও প্রচুর মানুষের মৃত্যু প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বলেন, ‘আমি যা দেখেছি তার ভিত্তিতে বলতে পারি আপনারা নন, অন্যরা এই কাজ করেছে।’
এর জন্য ফিলিস্তিনি জিহাদিদের দায়ী করে বাইডেন মন্তব্য করেন, ‘তাদের রকেটই হাসপাতালে ভেঙে পড়েছে।’
ইসরায়েলের সেনা দাবি করেছে, এই বিস্ফোরণের পেছনে আইএস আছে। তাদের রকেট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে হাসপাতালের ওপর পড়েছে।
তবে লন্ডনের কিংস কলেজের সামরিক বিশেষজ্ঞ ম্যারিনা মিরন বলেছেন, ‘হাসপাতালে বিস্ফোরণের পিছনে কারা দায়ী তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।‘ তিনি জানিয়েছেন, ‘আরো তথ্য দরকার। রকেট লঞ্চ সাইটও পরীক্ষা করে দেখতে হবে। নাহলে এটা বলা সম্ভব নয়।’
বেলিংগক্যাট ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম গ্রুপের গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ডিরেক্টর ফিওরেলা জানিয়েছেন, ‘আমরা এখনও এমন কোনো তথ্য পাইনি যার ভিত্তিতে বলতে পারি, কোনো একপক্ষ দায়ী।’
‘গাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সবদিক থেকে সহিংসতা বন্ধ হওয়া দরকার’
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দুই পক্ষই আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে। আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আইনের বিশেষজ্ঞ সের্গেই ভ্যাসিলিয়েভ বলেছেন, লড়াইয়ের কিছু নিয়ম আছে। সব পক্ষকে সেই নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাহলেই বেসামরিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়।