বিশেষ প্রতিবেদন
আধুনিক উন্নত বাসযোগ্য নগর গরবার বহুমাত্রিক প্রতিশ্রুতি আর অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে প্রচার–প্রচারণা ও গণসংযোগ শেষ। প্রতীক্ষা পহেলা ফেব্রুয়ারি ভোট শুরুর চূড়ান্ত মাহেন্দ্রক্ষনের। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হওয়ায় সঙ্গত কারণেই শেখ ফজলে নূর তাপসের হালে হাওয়া বেশী লেগেছে।
টানা দুই মেয়াদে ধানমন্ডি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য হওয়ায় ভোটারদের কাছে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার খুব একটা প্রয়োজন হয়নি। পারিবারিক ও দলীয় পরিচয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ইমেজ ও ভোটারদের একটি বড় অংশকে আস্থা খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও তাই নগর ভবনে প্রবেশ দৌড়ে এগিয়ে রাখছেন তাপসকে।
অপরদিকে ইশরাক হোসেন রাজনীতিতে নতুন হলেও বাবার পরিচয় তাকে সামনে নিয়ে আসছে। বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ধাকাইয়া সন্তান হিসেবে ইশরাক পুরনো ঢাকার ভোটারদের সমর্থন পাচ্ছেন। বয়সে তরুণ ও কথায় মার্জিত হয় তরুণ ভোটারদের একটি অংশের সমর্থন রয়েছে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর প্রতি।
ঢাকার মেয়র ঢাকাইয়া সন্তান হবে পুরনো ঢাকায় এমন প্রথা রয়েছে। ইশরাকের ঢাকাইয়া ইমেজ তাপসের বিজয়ের পথে বাধা হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা, যদিও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হওয়ায় বাড়তি সুবিধা তাপসের থাকছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন তাপস ইশরাকের এসব হিসেব–নিকেশ বিবেচনায় আসবে যদি নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। অবশ্য নির্বাচন কমিশন ও সরকার গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন।