The news is by your side.

“ইইউ’র সঙ্গে বৈঠকে সংলাপ নিয়ে আলোচনা হয়নি “

0 198

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বৈঠকে সংলাপ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।‘ রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শেষে ব্রিফিংয়ে ফারুক খান এ কথা বলেন।

রোববার সকাল থেকে প্রায় দেড়ঘণ্টার বৈঠক হয়। বৈঠকে ইইউ রাষ্ট্রদূতসহ ইইউভুক্ত ১০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, নির্মল চ্যাটার্জী, আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য সোহরাব হোসেন, তারিক হাসান সমী, খালেদ মাসুদ আহমেদ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের এক্সপার্ট গ্রুপ পাঠাবে জানিয়ে মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান জানতে চেয়েছেন ইইউ। তিনি বলেন, কি চিন্তা নিয়ে আওয়ামী লীগ অগ্রসর হচ্ছে, তাও জানতে চেয়েছেন ইইউ সদস্যরা। আমরা বলেছি, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী কিছুদিনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন তাদের তপশিল ঘোষণা করবে। আমরা আমাদের শিডিউল মোতাবেক নির্বাচন করব।

তিনি বলেন, আজকের আলোচনার মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আমরা যেই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাচ্ছি, সেটাই তারা চাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা কি কি করব সেটাও তারা জানতে চেয়েছেন।

বিএনপির বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা। তিনি বলেন, তবে আমরা বলেছি, বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল। তারা আগামী নির্বাচনে আসবে বলে আমরা আশা করি। তবে সংলাপের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।

ফারুক খান বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করলে দেশকে কিভাবে চালাবো? সে বিষয়টিও জানতে চেয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সেই প্রশ্নের উত্তর তারা পেয়ে যাবেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচনের ইশতেহার কি রকম হবে- তারা জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদেরকে ব্যাখ্যা করে বলেছি, যে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দুইটা দিক থাকবে। প্রথম অংশে, গত নির্বাচনী ইশতেহারে আমাদের যে কমিটমেন্ট ছিল, সেই কমিটমেন্ট কতটুকু আমরা পূরণ করেছি, তা জনগণকে জানাবো।

ফারুক খান আরও বলেন, আগামী পাঁচ বছর আমরা কি করতে চাই, সেটা ইশতেহার থাকবে। আমাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে, তারা এ নিয়ে কাজ করছেন। সে কাজ শেষ হলে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সেটি প্রস্তাবিতভাবে উপস্থাপন করা হবে, বৈঠকে পাস করা হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা জনগণকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষা, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে আমরা কি চিন্তা-ভাবনা করছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.