৪৬০ কোটি ইউরোর পরমাণু সাবমেরিন বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাজ্য
চীনকে টেক্কা দিতে এই প্রকল্পে অর্থায়ন
এই প্রকল্পে অর্থায়নের ব্যাপারে একমত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ত্রিপক্ষিও নিরাপত্তা জোট (এইইউকেইউএস)। মূলত চীনকে টক্কর দিতে এই সিদ্ধান্ত নেয় এইইউকেইউএস।
২০২১ সালে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় এইইউকেইউএস জোট। চলতি বছর মে মাসে পরমাণু অস্ত্র মজুত সাবমেরিন তৈরির ঘোষণা দেয় তারা। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে সাবমেরিন বানানোর কাজটি সম্পন্ন করা হবে। চীনকে টক্কর দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেয় এইইউকেইউএস বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
গণমাধ্যমগুলো জানায়, যুক্তরাজ্য সাবমেরিনটি তৈরির জন্য মোট চার দশমিক ছয় বিলিয়ন ইউরো খরচ করবে এবং বিএই সিস্টেমস নামের যুক্তরাজ্যেীয় একটি সংস্থা সাবমেরিনটি তৈরি করবে। প্রকল্পটিকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষেই যুক্তরাজ্য এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গত রোববার ম্যানচেস্টারে কনজারভেটিভ পার্টির একটি কনভেনশনে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন বলে জানায় ডয়চে ভেলে। এ বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, ‘এই প্রকল্পটিতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত অর্থায়ন করা হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে আমারদের কাঙ্ক্ষিত সাবমেরিন।’
এ বিষয়ে বিএই সিস্টেমস জানিয়েছে, অর্থ ঢুকতে শুরু করলেই সাবমেরিনের ডিজাইনের দিকে মন দেবে তারা। ২০২৮ সাল পর্যন্ত সাবমেরিন তৈরির কাজ চলবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা সম্পূর্ণ তৈরি করে এইউএসইউ-এর হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানায় সংস্থাটি।
যুক্তরাজ্যে শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে অস্ট্রেলিয়াও যোগ দিবে সাবমেরিন তৈরির এই প্রকল্পে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পশ্চিমা দেশগুলির ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে এই সাবমেরিন।
মূলত, চীন এ কারণেই এইইউকেইউএস এর তীব্র বিরোধিতা করছে। দেশটি জানিয়েছে, স্নায়ু যুদ্ধের পর আবার এই অঞ্চলে অশান্তি তৈরির পরিকল্পনা করছে এই জোট। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলির বক্তব্য অনুযায়ী ওই অঞ্চলে চীন বরাবরই নিজের আধিপত্য তৈরির চেষ্টা করে আসছে।
গত কয়েক বছর ধরে চীন তাদের নৌ শক্তি বৃদ্ধি করছে। তারা দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন মোতায়েন করেছে। তারই জবাব দেওয়ার জন্য এই নতুন সাবমেরিন তৈরি হচ্ছে বলে জানান ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী।