অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়নের সরকার ও বিরোধী দলের আইন-প্রণেতারা আগামী ৪৫ দিনের জন্য অস্থায়ী বাজেট বা স্টপগ্যাপ বিল মঞ্জুর করেছে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
বিলটি পাস না হলে যুক্তরাষ্ট্র শাটডাউনের মুখে পড়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যেতো। ৪০ লাখ কেন্দ্রীয় কর্মীর বেতন-ভাতা পরিশোধ বন্ধ হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা ছিল। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যেতো আর্থিক খাতের নজরদারি থেকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার তহবিল। দেশটিতে বিমান ভ্রমণ থেকে শুরু করে জাতীয় উদ্যান এবং বিবাহের লাইসেন্স সবকিছুতেই এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখা দিতো বলে জানিয়েছে একাধিক গণমাধ্যম।
বিবিসি ও গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়,যুক্তরাষ্ট্রে নতুন অর্থবছর শুরু হয় ১ অক্টোবর। কিন্তু স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটির আইনপ্রণেতারা নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছিলেন না। তাই দেশটির সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। পরে গত শনিবার কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি আগামী ৪৫ দিনের সরকারি ব্যয় মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করতে একটি স্টপগ্যাপ বিল উত্থাপন করে।
বিলটি পাসের পর সন্তোষ প্রকাশ করে সিনেটের ডেমোক্র্যাট দলের নেতা চাক শুমার বলেন, ‘পুরো দিনটিই ছিল জটিল ও ক্ষণে ক্ষণে রং বদলেছে, তবে তারপরও মার্কিন জনগণের স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। আপাতত সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না। আমাদের দ্বিপক্ষীয় মতৈক্য এটিকে সম্ভব করেছে এবং দেখিয়ে দিয়েছে-প্রয়োজনের সময় কীভাবে এক হয়ে কাজ করতে হয়।’
ম্যাককার্থির উপস্থাপিত বিল কংগ্রেসের উভয় কক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস ও সিনেটে পাস হয়ে চূড়ান্ত স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কার্যালয়ে পৌঁছে গেছে। বাইডেন বিলটিতে স্বাক্ষর করলে সেটি আইনে পরিণত হবে। নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে এই আইনি কার্যক্রম শেষ হয়।