আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে রাজপথ নিজেদের দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে ঢাকার কোথাও দাঁড়াতে দেয়া হবে না। বিএনপির নানা মতের ঐক্য দিয়ে সরকার পতন ঘটানো যাবে না।
গাজীপুরে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রযন্ত্র মেরামত নয়, রাষ্ট্রকে ধ্বংস করবে। তিনি বলেন, অক্টোবর মাসে হবে আওয়ামী লীগের। বিএনপিকে দাঁড়াতে দেয়া হবে না।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অক্টোবর মাস…৩৬ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। বিএনপিকে এই ৩৬ দিন দাঁড়াতে দেব না। সব জায়গা দখল থাকবে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ঐক্যের মধ্যেই নানা মত। সেই ঐক্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার নাকি মেয়াদ শেষ, আমাদের নাকি মেয়াদ শেষ, অক্টোবরে নাকি সবশেষ। বিএনপির কী হবে অক্টোবরে? ১৫টা অক্টোবর দেখলাম আগামীতেও দেখবো। শেখ হাসিনাই ক্ষমতায় থাকবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফাইনাল, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শেখ হাসিনা লাল-সবুজের পতাকা হাতে ডাক দিয়েছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা এখন তলে তলে যুক্তি করছেন ঢাকা দখল করবেন। আমরা অপেক্ষা করছি, ঢাকা দখল কে করে, কেমনে করে, দেখাইয়া দেব, শেখ হাসিনার ম্যাজিক দেখাইয়া দেব, একটু অপেক্ষা করেন। শেখ হাসিনার ম্যাজিক উন্নয়নের ম্যাজিক, শেখ হাসিনার ম্যাজিক মুক্তিযুদ্ধের ম্যাজিক। শেখ হাসিনার ম্যাজিক জাতীয় পতাকার ম্যাজিক, হাসিনার ম্যাজিকের জয় হবে।’
তিনি বলেন, অক্টোবরে নাকি ভাগ্য নির্ধারণ হবে। ফখরুল বলে, মির্জা আব্বাস বলে ভাগ্য নির্ধারণ করবে অক্টোবর মাসে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করতে চাই, ঘরের মধ্যে ঘর, মশারির মধ্যে কত মশারি। তারা আমাদের ভাগ্য কী নির্ধারণ করবে। খেলা হবে, খেলা হবে। জবাব দেব সব দুঃশাসনের। ওদের (বিএনপির) আন্দোলন ভুয়া, ওদের এক দফা ভুয়া, ওদের সাতাশ দফা ভুয়া, ওদের গণতন্ত্র ভুয়া, ওদের ক্ষমতা ভুয়া।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবে, কাজেই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে, বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা ছাড়া যোগ্য কোনো নেতা নেই, শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো প্রধানমন্ত্রী নেই। শেখ হাসিনা রাত জেগে মানুষের কথা ভাবেন। তিনি প্রতিদিন তিন ঘণ্টা ঘুমান। তিনি জনগণের নেতা, সৎ নেতা। তিনি উন্নয়নের নেতা।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্ল্যা খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ।