খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া এটা সম্ভব নয়। তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে কোনও আবেদন করা হয়নি।
তিনি বলেন,‘খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হচ্ছে।’
গত শনিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে মানবিক আবেদন করতে হলে প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হবে। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে মতামত চাইতে পারে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীল জানান, বেগম জিয়া বিদেশে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নেই। তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিক্রিয়ায় উল্লেখ করেছিলেন, বেগম জিয়া বিমানযাত্রা করতে সক্ষম।
ওইদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়টিতে আদালতের মাধ্যমেই যেতে হবে। আদালতের মাধ্যমেই আইনসম্মতভাবে করাতে হবে।
উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে শর্তসাপেক্ষ মুক্তিতে রয়েছেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষ মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। প্রতি ছয় মাস অন্তর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে অনুমোদন দেওয়া হয়।