সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর এক মাস পূর্ণ হয়েছে গতকাল বোববার। প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্কিমের আওতায় এ কর্মসূচিতে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার জন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এতে করে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের কোষাগারে জমা হয়েছে প্রায় ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
তবে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলক অনেক কম। প্রবাসীদের আগ্রহী করে তুলতে আরও বেশি প্রচারের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা দূর করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত চার স্কিমের আওতায় ১২ হাজার ৯৭০ জন প্রথম কিস্তির টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন শেষ করেছেন। এর মধ্যে প্রগতি স্কিমে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক চাঁদা জমা দিয়েছেন, যার সংখ্যা ৬ হাজার ১৯৪ জন। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ৪ কোটি পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সবচেয়ে কম গ্রাহক প্রবাসী স্কিমে। এই স্কিমে গ্রাহক হয়েছেন মাত্র ৩৯৮ জন। তাদের জমা দেওয়া টাকার পরিমাণ ৮২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে চারটি স্কিমে জমা হওয়া চাঁদার পরিমাণ সাত কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একেকটি স্কিম একেক শ্রেণীকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে। তাই চাঁদার পরিমাণও একেক রকম। প্রগতি স্কিম বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য নির্ধারিত। চাঁদা দেওয়ার ক্ষেত্রে তারাই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন।
এদিকে সুরক্ষা স্কিমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গ্রাহক দেখা গেছে। অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত ব্যক্তি- কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক, জেলে, কামার, কুমার, তাঁতী ইত্যাদি পেশার ব্যক্তিদের জন্য এ স্কিম চালু করা হয়েছে। এ স্কিমের আওতায় চাঁদা দিয়ে গ্রাহক হয়েছেন পাঁচ হাজার ২০ জন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা বলেন, এ ধরণের একটি প্রোগ্রামের জন্য এক মাস বেশি সময় না। যারা যুক্ত হয়েছেন তারা স্বতস্ফূর্ত তাগিদে যুক্ত হয়েছেন।
এ বিষয়ে আরও প্রচারণার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, আর একটি বিষয় হচ্ছে, মানুষ স্কিম করার আগে তার অর্থনৈতিক সক্ষমতাও হিসাব করছে। মানুষকে সময় দিতে হবে, আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে এটা বাড়বে।