যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একজন এবং কানাডিয়ান রয়েল মাউন্টেড পুলিশের দুজনকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ অনুমতি দেন।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।
ওইদিন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান দুদকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর আগে গত ২৩ মে তার বক্তব্যের একটি অংশ রেকর্ড করেন আদালত।
এছাড়াও মামলার ২ আসামি-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ও ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়ার পক্ষে কয়েক দফায় সাক্ষীর জেরা শেষ হয়।
এদিকে শুনানি মুলতবি চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেছবাহ।
আবেদনে মেছবাহ উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়া এর আগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রিট আবেদন খারিজ করে দেন এবং বলেন, বিচারিক কার্যক্রম চলবে।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লিভ-টু-আপিল করা হবে তাই শুনানি স্থগিত করা উচিত বলে জানান তিনি।
মামলায় অভিযুক্ত জামিনে থাকা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব ইউসুফ হোসেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন এবং ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকীসহ তিনজন পলাতক আছেন।
২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কানাডার কোম্পানি নাইকোকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন চুক্তি দেওয়ার ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি করে।
সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদসহ মামলার ৩ আসামি মারা গেছেন। মামলার অভিযোগ থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।