বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী’র জন্য যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে পারে না: কংগ্রেসম্যান অ্যান্থনি
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যান্থনি পি ডি এসপোসিটো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরী কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের কাছে জানতে চাইবেন।
তিনি বলেন, ক্যাপিটল হিলে ফিরে আসার পর, আমি আমার সহকর্মীদের, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও হোমল্যান্ড ডিপার্টমেন্টের সাথে কথা বলব। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরী কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তা আমি জিজ্ঞাসা করব। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সম্পর্কিত মার্কিন কংগ্রেস কমিটির সদস্য এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাব-কমিটির চেয়ারম্যান অ্যান্থনি নিউইয়র্কে একটি মতবিনিময় সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সম্পর্কিত মার্কিন কংগ্রেস কমিটির সদস্য এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাব-কমিটির চেয়ারম্যান অ্যান্থনি নিউ ইয়র্কে এক মতবিনিময়সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
গতকাল শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশের প্রবাসীদের সংগঠন ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ গত বৃহস্পতিবার লং আইল্যান্ডের একটি পার্টি হলে এ সভার আয়োজন করে।
সভায় কংগ্রেসম্যান বলেন, মাতৃভূমির বিরুদ্ধে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারে বাংলাদেশি প্রবাসীদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখে আমিও বিচলিত হয়ে পড়ি, কারণ আমার নির্বাচনী এলাকার অনেক মানুষই বাংলাদেশি আমেরিকান।
‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’-এর অন্যতম সংগঠক সাংবাদিক লাবলু আনসার সভায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাশেদ চৌধুরীর প্রসঙ্গ তোলেন। এর জবাবে কংগ্রেসম্যান উল্লেখ করেছেন যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বারকে বিষয়টি দেখতে বলেছিলেন।
ট্রাম্প ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কারণে এই বিষয়ে কোনও উন্নয়ন হয়নি, তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি রাশেদ চৌধুরী ইস্যুতে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রতি তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশেদ চৌধুরীর মতো কোনো বড় অপরাধী বা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীর জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে পারে না।