রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে লাগা ভয়াবহ আগুন দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘণ্টা পরে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দীর্ঘ সময় ধরে পুড়েছে মার্কেটের শত শত দোকান। এখনও মার্কেটের বিভিন্ন স্থান ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে আছে।
রাত ৩টা ৪৩ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। তাৎক্ষণিক ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনের তীব্রতা বেড়ে গেলে যোগ দেয় আরও দুটি ইউনিট। এরপর আরও তিনটি ইউনিট যোগ দেয়। সর্বশেষ যোগ দেয় আরও ৪টি ইউনিট।
স্থানীয়ভাবে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, মার্কেটটিতে পাঁচশ’র বেশি দোকান ছিল। এখানে সবজির দোকান, মাছের দোকান, কাপড়ের দোকান, জুতার দোকান, স্বর্ণের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের দোকান রয়েছে। এসব দোকানে কাজ করে ২ হাজারের বেশি মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকানগুলোতে কোটি কোটি টাকার মালামাল ছিল। গভীর রাতে মার্কেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ভেতরে ঢুকতে পারেননি। কেউ কেউ অল্প-স্বল্প মালামাল বের করে আনতে পারলেও বেশিরভাগই পুড়ে গেছে।
কৃষি মার্কেটে ছিল স্বর্ণের দোকানও। ভয়াবহ এই আগুনে পুড়ে গেছে ১৮টি স্বর্ণের দোকান। মার্কেটের ভেতরে থাকা ৯টি ও সামনে থাকা ৯টি দোকান পুড়ে যায়।
দুবাই জুয়েলার্সের মালিক আমির হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, কৃষি মার্কেটে দুটি জুয়েলার্সের দোকান ছিল তার। ভোর চারটায় খবর পেয়ে মার্কেটে আসেন। তখনও তার দোকানে আগুন লাগেনি। কিন্তু মার্কেট বন্ধ থাকায় মালামাল সরাতে পারেননি তিনি। দুই দোকানে দুই কোটি টাকার জুয়েলার্সের মালামাল ছিল। সব পুড়ে গেছে।
আগুন নেভাতে পানির উৎসের সঙ্কট থাকায় এ মার্কেটের আগুন নেভাতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ে ফায়ার সার্ভিস। পানির উৎস খুঁজতে গিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা আরও ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তার পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির বালতি হাতে তুলে নেন বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। তারা স্থানীয়দের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়েন। বিশেষ করে এতে সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা।