The news is by your side.

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাশিয়ার পথে কিম

0 100

মার্কিন হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের  সঙ্গে  শীর্ষ  বৈঠকের জন্য ভ্লাদিভোস্তকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবারের প্রথম দিকে বৈঠকটি হতে পারে বলে ধারণা। রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স আগেই জানিয়েছিল, সামনের  দিনগুলোতে রাশিয়া সফর করবেন কিম।

একজন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম  জানিয়েছে, কিম বিদেশ সফরের জন্য যে সাঁজোয়া ট্রেনটি ব্যবহার করেন সেটি পিয়ংইয়ং ছেড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বিবিসির মার্কিন পার্টনার সিবিএসকে বলেছিলেন, বৈঠকে  দুই নেতা সম্ভবত উত্তর কোরিয়ার ইউক্রেনে যুদ্ধে সমর্থন দেওয়ার জন্য মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন।

তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার পতনের পর পুতিনের সঙ্গে তার প্রথম শীর্ষ বৈঠকের উদ্দেশে ২০১৯ সালে ভ্লাদিভস্তক সফর করেছিলেন কিম। তখন ট্রেনে সফর করেছিলেন তিনি।

তার এই সফরে অন্তত ২০টি বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকবে বলে শোনা গেছে। ফলে ট্রেনটি ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি গতিতে ছুটতে পারবে না। ভ্লাদিভোস্তকে তার যাত্রা পুরো দিন লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র সমঝোতা ‘সক্রিয়ভাবে অগ্রসর’ হওয়ার নতুন তথ্য পাওয়ার পরে সম্ভাব্য বৈঠকটি হতে পারে।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এর আগে বলেছিলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু সাম্প্রতিক উত্তর কোরিয়া সফরের সময় ‘পিয়ংইয়ংকে রাশিয়ার কাছে আর্টিলারি গোলাবারুদ বিক্রি করতে রাজি করানোর’ চেষ্টা করেছিলেন। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর কয়েক মাস পর থেকেই মার্কিন কর্মকর্তারা আশঙ্কা করে আসছিলেন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে উত্তর কোরিয়া। এ নিয়ে দেশটি উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ার বার্তাও উচ্চারণ করেছিল। তবে সব হুমকি উপেক্ষা করে শেষমেশ রাশিয়াকে অস্ত্র দেওয়ার পথেই কিম।

জন কিরবি বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুতিন ও কিম চিঠি বিনিময় করেছেন। আমরা উত্তর কোরিয়াকে আহ্বান জানাই তারা যেন রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র আলোচনা থেকে বিরত থাকে। সেইসঙ্গে দেশটি রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ না করতে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা মেনে চলার আহ্বান জানাই।

এসময় কিরবি সতর্ক করে বলেছেন, যদি উত্তর কোরিয়া অস্ত্র সরবরাহ করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে। যার মধ্যে নিষেধাজ্ঞাও আছে।

কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস থেকে অঙ্কিত পান্ডা অনুসারে, শীর্ষ সম্মেলনটি এমন এক সময়ে হবে যখন রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া উভয়ের কাছেই এমন কিছু রয়েছে যা অন্য দেশ চায়।

জুলাই কিম এবং শোইগুর মধ্যে বৈঠকে প্রদর্শিত অস্ত্রগুলোর মধ্যে হাওয়াসং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত ছিল। কোভিড মহামারির পর এই প্রথম বিদেশি অতিথিদের জন্য দেশের দরজা খুলে দিয়েছেন কিম।

Leave A Reply

Your email address will not be published.