রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিশেষ আদালতে পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় লাহোর হাই কোর্টে বাতিল হয়ে গেছে।
তিনজন বিচারককে নিয়ে গঠিত লাহোর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মোশাররফের আবেদনের শুনানির পর সোমবার ঘোষণা করে, পারভেজ মোশাররফের বিচারের জন্য যে প্রক্রিয়ায় ওই বিশেষ আদালত গঠন করা হয়েছিল, তা সংবিধানসম্মত হয়নি এবং মামলাটি আইন মেনে প্রস্তুত করা হয়নি।
ফেডারেল সরকার এবং মোশাররফের আইনজীবী উভয়ের মতে, হাইকোর্টের এই রায়ের পর, মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে বিশেষ আদালতের রায়টি বাতিল হয়ে যাবে।
তবে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিলের ব্যাপারে আদালত কিছু না বললেও এ ব্যাপারে একটি সংক্ষিপ্ত আদেশ শীঘ্রই প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
ইসলামাবাদের ওই বিশেষ আদালত সাবেক প্রেসিডেন্ট মোশাররফের অনুপস্থিতিতেই গত ১৭ ডিসেম্বর তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে এবং সর্বোচ্চ সাজার আদেশ দেয়।
১৯৯৯ সালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অপসারণ করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসন করেন মোশাররফ। গত ২০১৩ সালে দেশটির সাবেক এই স্বৈরশাসককে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। ছয় বছর শুনানির ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর মোশাররফকে অভিযুক্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় বিশেষ আদালত। দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম কোন বেসামরিক আদালতে দেশদ্রোহের অভিযোগে কোনো সামরিক কর্মকর্তার বিচার হলো। এই আদালতকেই সোমবার অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে লাহোর হাইকোর্ট।