ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ৬১ মিনিটে দারুণ সংঘবদ্ধ এক আক্রমণ থেকে স্কোরশিটে নিজের নাম তোলেন নেইমার। এই গোলের মাধ্যমে কিংবদন্তি পেলেকে টপকে ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যান ব্রাজিলের এ পোস্টারবয়।
শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৭টায় ব্রাজিলের বেলেমের এস্তাদিও এস্তাদুয়াল জার্নালিস্তায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল বলিভিয়া।
১৭ মিনিটেই গোল করার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল। পেনাল্টি নিতে বরাবরই দক্ষ তিনি। কিন্তু কি বুঝে যেন আজই নিলেন দুর্বল এক শট। তাতে গোল আর রেকর্ড দুটো থেকেই বঞ্চিত হলেন এই সুপারস্টার। মাঝে বেশ কয়েকবার সুযোগ এসেছিল। সেটিও কাজে আসেনি।
প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে ডিবক্সের বাইরে থেকে চার ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে একাই গোলমুখে এগিয়ে গিয়েছিলেন। শটও নিয়েছিলেন ঠিকঠাক। তবে সেটা আটকে যায় বলিভিয়ার গোলরক্ষকের হাতে।
তবে ৬১ মিনিটে আর সুযোগ হাতছাড়া হলো না। ডিবক্সের ভেতর অনেকটা জটলার মধ্যেই রদ্রিগোর পা ঘুরে বল আসে নেইমারের সামনে। ফার্স্ট টাইম শটে গোল করে রেকর্ডবুকে নিজের নাম লেখালেন নেইমার। বামপ্রান্ত থেকে আক্রমণের সূত্র ধরে বল আসে বলিভিয়ার ডিবক্সে।
রাফিনহার ব্যাকপাস থেকে রদ্রিগোই শট নিতে চেয়েছেন, তবে শেষ মুহূর্তে বল ঠেলে দেন নেইমারের কাছে। দারুণ শটে দলের চতুর্থ এবং নিজের রেকর্ডগড়া গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের এই পোস্টারবয়।
৫০ বছর ধরে যে রেকর্ডটা আগলে রেখেছিলেন পেলে, সেটা তার জীবদ্ধশায় কেউ ভাঙতে পারেনি। অনেক বড় বড় ফুটবলার এসেছিলেন ব্রাজিল ফুটবলে। কিংবদন্তির ছড়াছড়ি। কিন্তু ব্রাজিলের জার্সিতে পেলের ৭৭ গোলের রেকর্ড ছুঁতেও পারেননি কেউ। অথচ, এই কিংবদন্তির মৃত্যুর মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তাকে পেছনে ফেলে দিলেন নেইমার।
মাঝে ব্রাজিল অবশ্য উপহার দিয়েছে আরও তিন গোল। পুচকে বলিভিয়ার সঙ্গে দারুণ ফুটবল খেলেই বড় জয়ের পথে আছেন পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
অন্তর্বর্তী কোচ ফার্নান্দো দিনিজের সামনে এদিন ছিল বড় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষাতেও বেশ ভালোভাবেই উৎরে গেলেন তিনি।