ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান সমন্বয়ক তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সংসদ সদস্যরা সিটি নির্বাচনে নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া ছাড়া সবই করতে পারবেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সম্মেলন কক্ষে ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগের উত্তর সিটি নির্বাচনের প্রধান সম্বয়ক তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল।
বৈঠক শেষে তোফায়েল সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী বিধিমালার অসঙ্গতি তারা তুলে ধরেছেন ইসির কাছে। আর এতে মাহবুব তালুকদার ছাড়া অন্য নির্বাচন কমিশনাররা একমতও পোষণ করেছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা এমপিরা পথসভায় যাবে না, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্যাম্পেইন করব না। কিন্তু আমাদের যে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমরা তো ঘরোয়াভাবে মিটিং করতে পারব।
“নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো ক্যাম্পেইনে যেতে পারব না, সেটা আমরা মেনে নিয়েছি। তারা অনুরোধ করেছেন, এমপিদের ভোট না চাইতে। ভোট চাওয়া ছাড়া আমরা সব করব।”
নির্বাচনী আচরণবিধিতে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সংসদ সদস্যদেরও স্থানীয় নির্বাচনে প্রচারে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এনিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলছেন, এতে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা প্রচারে নামতে পারলেও আওয়ামী লীগ নেতারা পারছেন না।
তোফায়েল বলেন, “এই বিষয়টি আমরা তুলে ধরেছি, জাতীয় সংসদ সদস্যরা কিন্তু সুবিধাভোগী না। সুবিধাভোগী হলো অফিস অফ প্রফিট যেটা আমরা এমপিরা পাই না। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, হুইপ, স্পিকাররা পায়।
“অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির যে বিষয়টি আমাদের শেখ সেলিম, হানিফ, তারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আবার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর, তারা সবাই কিন্তু মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, তারাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।”
আইন সভার প্রবীণ এই সদস্য বলেন, “তারা (ইসি) স্বীকার করেছে যে আসলে সংজ্ঞা মধ্যে স্ববিরোধিতা রয়েছে।
“মাহবুব তালুকদার সাহেব সেদিন যে কথা বলেছিলেন, আজকেও বলেছেন, আমি আমার অফিস বা ঘরে বসেও নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলতে পারব না। উনি ছাড়া সবাই একমত হয়েছেন, এটা বাস্তবসম্মত নয়।”
আমরা এমপিরা পথসভায় আমরা যাবো না, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্যাম্পেইন করব না। কিন্তু আমাদের যে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমরা তো ঘরোয়াভাবে মিটিং করতে পারব। নির্বাচন সংক্রান্ত কোন ক্যাম্পেইনে যেতে পারব না সেটা আমরা মেনে নিয়েছি। তারা অনুরোধ করেছে এমপিদের ভোট না চাইতে। ভোট চাওয়া ছাড়া আমরা সব করব।
সিইসির নেতৃত্বে ইসির পক্ষে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: আবুল কাসেম উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, উত্তর সিটির মিডিয়া সেলের সদস্য জয়দেব নন্দী।