বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছেন রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন। রাশিয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
উড়োজাহাজে প্রিগোশিনের সঙ্গে আরও নয়জন ছিলেন বলে জানানো হয়েছে।
রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বুধবার প্রিগোশিনকে বহনকারী ওই ফ্লাইট রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাচ্ছিল।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রিগোশিনসহ ওই উড়োজাহাজে ১০ আরোহী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন ছিলেন ক্রু। দুর্ঘটনায় সবাই নিহত হয়েছেন।
এদিকে ওয়াগনার ঘনিষ্ঠ একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন জানিয়েছে যে মস্কোর উত্তরে তেভর অঞ্চলে বিমানটিকে গুলি করে নামানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ঘটনার আগে দুটি বিস্ফোরণের মতো শব্দ পান, এরপর ধোঁয়ার দুটি রেখা দেখতে পান তারা।
বিমান বিধবস্তের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে রোসাভিয়েশনের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যম তাস জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বিমানটি উড্ডয়নের আধা ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার পর ওই উড়োজাহাজে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকে ইতোমধ্যে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভাগনারপ্রধান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিলেন ভাগনার সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল প্রিগোশিনের।
এ অসন্তোষের প্রকাশ ঘটে গত ২৩ জুন। বিদ্রোহ করে বসেন প্রিগোশিন। রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের জন্য ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কোর দিকে অভিযান শুরু করেন তিনি। পথে কয়েকটি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন ভাগনারের যোদ্ধারা।