The news is by your side.

ন্যায়সঙ্গত একটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা আহ্বান হবে:  শি জিনপিং

ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন

0 109

 

আরও ন্যায়সঙ্গত একটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এজন্য ব্রিকস- এর সদস্য সংখ্যা সম্প্রসারিত করার ব্যাপারে জোর দেন তিনি। কোনো ‘ব্লক দ্বন্দ্ব’ তৈরির শক্তি প্রতিযোগিতার ইচ্ছা চীনের নেই জানিয়ে বলেন, আধিপত্যবাদ চীনের ডিএনএতে নেই।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের শুরুতে মঙ্গলবার এক বিজনেস ফোরামে তার পক্ষে দেওয়া এক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও। তিনি বলেন, চীন ইতিহাসের সঠিক পথে দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে। তারা বিশ্বাস করে, সবার মঙ্গলের জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত বৈশ্বিক পথ অনুসরণ করা উচিত।

শি জিনপিং বলেন, যত বাধাই থাকুক ব্রিকস সম্প্রসারিত হবে। বিশ্বে এই মুহূর্তে পরিবর্তনগুলো এমনভাবে সামনে আসছে যা আগে কখনও হয়নি। এটি মানবসমাজকে একটি জটিল সন্ধিক্ষণের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি এর আগে শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে দেখা করেন শি জিনপিং। ওই সাক্ষাতে বলেন, তাদের জোট ‘নতুন ঐতিহাসিক সূচনায় দাঁড়িয়ে আছে।

এটা স্পষ্ট নয় যে, শি জিনপিং কেন বিজনেস ফোরামের বৈঠকে যোগ দেননি। ওই বৈঠকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন।

ব্রিকসকে সম্প্রসারিত করার বার্তা দিয়েছেন সিরিল রামাফোসাও। শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে রামাফোসা বলেন, ব্রিকস- এর সদস্য সংখ্যা বাড়াতে তারা একমত। বৈশ্বিক যে ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তাতে পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ব্রিকস। শি জিনপিং বলেন, ব্রিকসের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে এই সম্মেলন ঐতিহাসিক।

এই সম্মেলনে ব্রিকসভুক্ত পাঁচ দেশ ছাড়াও যুক্ত হচ্ছেন আরও অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিরা। এবারের সম্মেলন থেকেই জোটটিতে নতুন সদস্য যুক্তের ঘোষণা আসতে পারে। ৪০টিরও বেশি দেশ এরই মধ্যে ব্রিকসের সদস্য হওয়ার আবেদন করেছে। এটিই এবারের ব্রিকস সম্মেলনের প্রধান আকর্ষণ।

সম্মেলন ঠিক কতটি দেশকে সদস্যপদ দেওয়া হবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। কোনো দেশকে যুক্ত করার জন্য সব সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন পেতে হবে। ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোতে এখন বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ সম্পদ রয়েছে। এ ছাড়া বৈশ্বিক জিডিপির এক-তৃতীয়াংশই এখন ব্রিকস দেশগুলোর। অর্থনীতির আকারে পশ্চিমা জি৭ দেশগুলোকে অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো।

২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে ব্রিকস। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো এর সদস্য। ব্রিকস সদস্য হওয়ার পর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।

ব্রিকসে যুক্ত হওয়ার পর চীনে দক্ষিণ আফ্রিকার রপ্তানি চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। চীন পরিণত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সব থেকে বড় বাণিজ্য সহযোগী রাষ্ট্রে। ‘ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল ডায়ালগ’-এর ‘সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট’ সানুশা নাইডু বলেন, এবারের সম্মেলনে নতুন সদস্য যুক্ত হওয়ার দিকেই চোখ থাকবে সবার।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.