সোমবারের বিকেল। মধ্য কলকাতার একটি বহুতলের সামনে এসে দাঁড়াল একটি ট্যাক্সি। আর পাঁচটি ট্যাক্সির মতো কিন্তু নয়। শহরের পরিচিত ট্যাক্সির গায়ে কালো-হলুদ ডোরাকাটা দাগ! গাড়ি থামতেই ভিতর থেকে নেমে এলেন শন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণা সাহা। সামনের সিট থেকে নেমে এলেন পরিচালক অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যপারটা কী? আসলে চলতি মাসেই মুক্তি পাওয়ার কথা পরিচালকের নতুন ওয়েব সিরিজ় ‘পিলকুঞ্জ’-এর। তারই প্রচারে এই আয়োজন।
এই বছর ভারতের ‘টাইগার প্রজেক্ট’-এর সুবর্ণজয়ন্তী। এই ওয়েব সিরিজ়ের সঙ্গেও ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে বাঘ। রিঙ্গো বললেন, ‘‘বাঘকে নরখাদক বলা হয়। আসলে তো তার বিপরীতটা সত্যি। আমার মনে হয়, এই ওয়েব সিরিজ়টা ব্যাঘ্র সংরক্ষণের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য।’’ সোমবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই বিশেষ ট্যাক্সি নিয়ে সিরিজ়ের প্রচার সারলেন কলাকুশলীরা।
তৃণাও এই নতুন ওয়েব সিরিজ় নিয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত। এই সিরিজ়ে তাঁর চরিত্র বিদিতা চিকিৎসক। নিজের চরিত্র নিয়ে খুব বেশি খোলসা না করলেও অভিনেত্রী বললেন, ‘‘এই প্রথম এক জন চিকিৎসকের চরিত্রে অভিনয় করলাম। বিষয়টা বেশ কঠিন ছিল। পরিচালকের সাহায্য ছাড়া এটা সম্ভব হত না।’’ বাঘ নিয়ে তৃণার আলাদা ভাললাগাও রয়েছে। হেসে বললেন, ‘‘ছোট থেকেই বাঘ আমার ভীষণ পছন্দের প্রাণী। একটা সময় তো আমি বাড়িতে বাঘ পুষতেও চাইতাম। পরে অবশ্য বুঝতে পারি, সেটা সম্ভব নয়।’’
‘মাতঙ্গী’ ওয়েব সিরিজ়ে তৃণাকে ঘিরে দানা বাঁধা সাম্প্রতিক বিতর্ক এখনও অনেকেরই মনে টাটকা। নিজেকে নিয়ে বিতর্ক সামলান কী ভাবে? তৃণার সপাট উত্তর, ‘‘সামলানোর তো কিছু নেই! একটা ভুলকে দুশো জনও ঠিক বলতে চাইলে সেটা তো ঠিক হয়ে যায় না!’’ নিজের ভাবমূর্তি নিয়ে তিনি কি বিচলিত? তৃণার কথায়, ‘‘২০১৬ থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। আমি কেমন মানুষ, সেটা পরিচালক বা প্রযোজকরা জানেন। কাউকে যখন অসম্মান করিনি, তখন কারও থেকে অসম্মান নিতেও পারব না। তাই কারও কাছে নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ নেই।’’
সামনে নিজেদের নতুন পোশাক কোম্পানির আত্মপ্রকাশ। তাই নিয়ে আপাতত ব্যস্ত তৃণা। চলতি বছরে স্বামী নীল ভট্টাচার্যের সঙ্গে মিলে অভিনেত্রী দুর্গাপুজোও করছেন। তা হলে শুটিং থেকে কি বিরতি নিচ্ছেন? তৃণা বললেন, ‘‘কথাবার্তা চলছে। তবে, পুজোর আগে নতুন কাজ শুরু করতে পারব বলে মনে হচ্ছে না।’’