The news is by your side.

পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহারে ভারতের মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছি: কৃষিমন্ত্রী

বাংলাদেশকে বিশেষ বিবেচনায় দেখবে:  পিযুস গয়াল

0 123

 

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের শুল্কারোপ-  বাজারে নতুন করে অস্থিরতা বয়ে এনেছে। এ ইস্যুতে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী পিযুস গয়ালের সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পিযুস গয়ালের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমরা বলেছি, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে কেন অব্যাহতি দেন না? এতে আপনাদের বাজারে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। এই অনুরোধ করেছি। তারা বলেছে, আমরা এই বিষয়টি বিবেচনা করছি। দ্রুত এই বিষয়টি প্রস্তাব আকারে মন্ত্রীদের গ্রুপে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তারা বলেছে, বাংলাদেশকে বিশেষ বিবেচনায় দেখবে।

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ কী এবং এর থেকে পরিত্রাণের উপায় জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ আমাদের দেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মশলা জাতীয় ফসল। পেঁয়াজের এত ব্যাপক ব্যবহার হয় যা অনেকটা সবজির মতো। পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশের আবহাওয়া খুবই উপযোগী। তবে আমাদের আগে যেসব পেঁয়াজ ছিল সেগুলোর উৎপাদনশীলতা কম। এরইমধ্যে আমাদের কৃষি গবেষকরা উন্নতজাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবন করেছেন। সেগুলোর ফলন অনেক বেশি। প্রতি হেক্টরে ২০ টন পেঁয়াজ হয়।

তিনি বলেন, আমাদের পেঁয়াজের মূল মৌসুম হলো মার্চের শেষে ও এপ্রিলের প্রথম দিকে। সে সময় দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়, এটা হলো আমাদের সমস্যা। পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল তাই বেশি ঘরে থাকলে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যদি পেঁয়াজ ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে পারতাম তাহলে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো সমস্যা হতো না। বড় সমস্যা হচ্ছে পেঁয়াজ গুদামে রাখা যায় না। সেজন্য আমাদের প্রায় প্রতিবছর পেঁয়াজ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।

মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম হঠাৎ কোনো বছর কমে যায়। গত বছর দাম কম ছিল। ফলে চাষিরা এ বছর আবাদ করতে পারেনি। এজন্য এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা থেকে দুই থেকে আড়াই লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন কম হয়েছে। আমরা প্রথম দিকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিইনি। এতে চাষিরা ভালো দাম পেয়েছে। এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে আমদানি না করলে দেশি পেঁয়াজ কমে যাচ্ছে এবং দাম আস্তে আস্তে বাড়ছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমদানি উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমরা ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপিও দিয়েছি। কিন্তু এসেছে মাত্র ৩ লাখ টন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.