The news is by your side.

গোপালগঞ্জে রুপালী ব্যাংক কর্মকর্তা র  বিরুদ্ধে  ৩ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ

0 194

 

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

কাশিয়ানী উপজেলার রুপালী ব্যাংকের জয়নগর বাজার শাখার ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাংকের ৩ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। ঘটনার পর থেকে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা গত আটদিন যাবৎ নিখোঁজ রয়েছেন।

ব্যাংকের গোপালগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএমকে দায়িত্বহীনতার দায়ে বদলী করা হয়েছে।

জয়নগর বাজার শাখার নতুন ব্যবস্থাপক ফাইজুর রহমান পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের ইমিগ্রেশন শাখায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, রুপালী ব্যাংকের জয়নগর বাজার শাখার নিখোঁজ ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মফিজুর রহমান ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতি ও আত্মসাতের সাথে জড়িত বলে প্রতীয়মান এবং তিনি যে কোন সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন। তিনি যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।’

অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মুহাম্মদ মফিজুর রহমান একই উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলসি গ্রামে মো. মতিয়ার রহমান মোল্যার ছেলে।

মোহাম্মদ মফিজুর রহমান ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে রুপালী ব্যাংকের জয়নগর বাজার শাখায় শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় থেকে একটি টিম ওই শাখায় অডিটে আসে। জরিপে ওই ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও আর্থিক অনিয়ম খুজে পায় তারা। এরপর গত ২৬শে জুন শাখাটি থেকে মুহাম্মদ মফিজুর রহমানকে বদলী করে ওই শাখায় নতুন শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা মো. ফাইজুর রহমানকে (নিযুক্ত) করা হয়।

১ আগস্ট মো. ফাইজুর রহমান যোগদান করতে ও দায়িত্ব বুঝে নিতে ব্যাংকে আসলে কর্মরত শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান ব্যাংক থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পরের দিন কাশিয়ানী থানায় অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ব্যাংকের নবাগত শাখা ব্যবস্থাপক মো. ফাইজুর রহমান।

অনুসন্ধান করে ব্যাংকের একটি সুত্র থেকে জানা যায়, নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মফিজুর রহমান ব্যাংক শাখায় বড় ধরণের অর্থ আত্মসাৎ ও আর্থিক অনিয়ম করেছেন। ব্যাংক হিসাবে যার পরিমাণ প্রায় ৩কোটি টাকার বেশি। যে কারণে তিনি আত্মগোপন করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনিয়মের বিষয় খতিয়ে দেখতে রুপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম কাজ করছে।

এবিষয়ে জানতে ব্যাংকের শাখাটির নতুন ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা হলে বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ১ তারিখে আমার নতুন কর্মস্থলে যোগদান ও দায়িত্ব বুঝে নিতে এলে শাখাটির সাবেক ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মফিজুর রহমানকে পাওয়া যায়নি।

রুপালী ব্যাংকের গোপালগঞ্জ এরিয়া অফিসের বদলী হওয়া মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আব্দুল মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করে বদলীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি তাদের প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় আমাকে দায়ীত্বহীনতার দায়ে বদলী করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

কাশিয়ানী থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, ‘ব্যাংক কর্মকর্তা নিখোঁজের ঘটনায় ব্যাংকের নতুন শাখা ব্যবস্থাপক মো. ফাইজুর রহমান ঘটনায় গত দুই আগস্ট থানায় ওই ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.