ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ফৌজিদারি মানহানি মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ‘মোদি উপাধি’ নিয়ে মন্তব্যের জেরে তাকে এর আগে দু’বছরে সাজা দিয়েছিল সুরাত আদালত।
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রথম গুজরাট হাইকোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল। মানহানির সেই মামলাতে থেকে অবশেষে রেহায় পেলেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ সুরাট আদালতের রায়ের সমালোচনা করে বলেছে, ‘কেন রাহুল গান্ধীকে অপরাধমূলক মানহানির মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি, দু’বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল, তার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দেখাতে পারেনি।’
‘অপরাধমূলক মানহানি’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল (২৩ মার্চ) সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এরপর এই রায় স্থগিত চেয়ে রাহুলের আবেদনও (৭ জুলাই) খারিজ করে দিয়েছিল গুজরাট হাই কোর্ট। সেই সাজার রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ১৭ জুলাই রাহুলের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান। সেই আবেদন আমলে নিয়ে এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
রাহুল গান্ধী এপ্রিল মাসে সুরাটের একটি দায়রা আদালতকেও বলেছিলেন যে ২০১৯ সালের মানহানির মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বারা তার দোষী সাব্যস্ত করা ছিল ভুল। তিনি আরও বলেন, তার বক্তব্যকে স্পষ্টভাবে বিকৃত করা হয়েছে এবং একজন সংসদ সদস্য হিসেবে অযোগ্য প্রমাণ করার জন্য তাকে এমনভাবে সাজা দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানান ট্রায়াল কোর্ট তার সঙ্গে কঠোর আচরণ করেছিল, যা একজন এমপি হিসেবে তার মর্যাদাকে ‘অপ্রতিরোধ্যভাবে’ প্রভাবিত করেছিল।
রায় স্থগিতের ফলে দ্রুত রাহুলের সংসদ সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত বলেই করেন লোকসভার সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল পিডিটি আচার্য। তার মতে, চলমান পার্লামেন্টে অধিবেশনেই রাহুলকে ফেরার সুযোগ করে দিতে হবে।