শহিদ শহীদুল্লা কায়সারের জীবনসঙ্গী সাংস্কৃতিক সংগঠক, লেখক, সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সার আর নেই।
শুক্রবার সকাল ১১টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মারা যান।
তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অধ্যাপক পান্না কায়সারের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৫ মে। তার আরেক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী।
কলেজে পড়ার সময় ঢাকায় এক উচ্চবিত্ত পরিবারে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির অমানবিক পরিবেশ তার জীবন দুর্বিষহ করে তোলে।
সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে ফের পড়ালেখায় মন দেন পান্না। এইচএসসি পাস করে কুমিল্লা মহিলা কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি নেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন বাংলায় মাস্টার্স করতে।
সে সময়ই পরিচয় হয় তরুণ বুদ্ধিজীবী, লেখক শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের উত্তাল এক দিনে কারফিউয়ের মধ্যে তাদের বিয়ে হয়।
কিন্তু সংসার জীবন দীর্ঘ হয়নি পান্না কায়সারের। বিয়ের মাত্র আড়াই বছরের মাথায় মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে স্বামীকে হারান পান্না কায়সার। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর কিছু সদস্য শহীদুল্লা কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তার আর ফেরা হয়নি।
এরপর পান্না কায়সার একা হাতে মানুষ করেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার ও অমিতাভ কায়সারকে। এ ছাড়া তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পান্না কায়সার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।