দীর্ঘ দুই দশকের সময় তো আর কম কিছু না। বার্সেলোনায় এই দীর্ঘ সময়ে লিওনেল মেসি বেশ মায়ায় পড়ে গিয়েছিলেন। অনেকের সঙ্গেই তাঁর (মেসি) বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তাঁদেরই একজন লুইস সুয়ারেজ।
লিভারপুল থেকে ২০১৪ সালে বার্সেলোনায় আসেন সুয়ারেজ। উরুগুইয়ান এই ফুটবলার ও মেসি ৬ বছর একসঙ্গে বার্সায় খেলেছেন। ২০২০ সালে লুইস সুয়ারেজ বার্সা ছেড়ে আতলেতিকো মাদ্রিদে চলে যান। এরপর ২০২০ সালে সুয়ারেজ আতলেতিকো ছেড়ে নাম লেখান উরুগুয়ের ক্লাব নাসিওনালে আর মেসি বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যান ২০২১ সালে। কিন্তু প্রিয় বন্ধু মেসির সান্নিধ্য থেকে কখনোই দূরে চলে যাননি। ছুটি পেলেই দুই বন্ধু মিলিত হন পরিবারসহ। সুয়ারেজ এখন ব্রাজিলের ক্লাব গ্রেমিওতে। মেসিও বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজি হয়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে।
এরপর এ বছর পিএসজি ছেড়ে চলে যান ইন্টার মায়ামিতে। ৩ বছর আগে দুজনের ক্লাব আলাদা হয়েছে ঠিকই তবে তাঁদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ফাটল ধরেনি।
কালের চক্রে দুজন দুই দেশে থাকলেও মেসি-সুয়ারেজের বন্ধুত্বের বন্ধন এতটুকু আলগা হয়নি। তাঁদের বন্ধুত্ব কতটা গভীর, সেটা স্পষ্ট হয় সুয়ারেজের বলা একটি কথায়ও। উরুগুয়ের একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘পুনতো পেনাল’–এ তিনি বলেছেন, ‘আমরা একসঙ্গে অবসর নেওয়ার স্বপ্ন দেখি।’
সুয়ারেজের এমন কথা বলার একটি কারণও আছে। মায়ামিতে মেসির সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তাঁর সাবেক দুই বার্সা সতীর্থ সের্হিও বুসকেতস ও জর্দি আলবা। শোনা যাচ্ছে, সুয়ারেজকেও দলে ভেড়াতে চায় ডেভিড বেকহামের যৌথ মালিকানার ক্লাবটি।
কিন্তু আলোচনা অনেক দূর এগোনোর পর মায়ামির সঙ্গে হঠাৎই যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে সুয়ারেজের ক্লাব গ্রেমিও। তাই উরুগুয়ের তারকা স্ট্রাইকারের মায়ামিতে যোগ দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এ বিষয়েই তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল টেলিভিশনের সেই অনুষ্ঠানে। সে কথার উত্তর দিতে গিয়ে মেসির সঙ্গে মায়ামিতে খেলার তীব্র ইচ্ছার কথা জানান সুয়ারেজ।
‘পুনতো পেনাল’ অনুষ্ঠানে সুয়ারেজ আরও বলেছেন, ‘আমরা যখন বার্সেলোনায় ছিলাম, এটা (একসঙ্গে অবসর নেওয়া) নিয়ে পরিকল্পনা করেছি। এরপর আমি যাই আতলেতিকোয়, সে যায় পিএসজিতে। সেই সময়ই আমরা যুক্তরাষ্ট্রে যাব বলে পরিকল্পনা করি। কিন্তু তেমন কিছু হচ্ছিল না।’