প্রায় ১০ মাস বন্ধ থাকার পর বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে জননিরাপত্তা এখনো ঝুঁকিতে থাকায় রোয়াংছড়ি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণের ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোয়াংছড়ি উপজেলা ছাড়া জেলার অন্য ৬টি উপজেলায় পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করা হলো।
তবে রুমা ও থানচি উপজেলার দুর্গম অঞ্চলে ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশাবলী মেনে চলতে হবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জঙ্গি নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্নকরণ এবং পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাস নির্মুলের লক্ষ্যে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি এবং রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ে বিশেষ অভিযান শুরু করে। এ কারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়ন কর্তৃপক্ষের অনুরোধের প্রেক্ষিতে রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে আলীকদমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ১২ জুলাই এক পত্রের প্রেক্ষিতে রুমা ও থানচি উপজেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত হওয়ায় এ দুটি উপজেলা থেকে পর্যটক ভ্রমণের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সম্মতি জানায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়ন কর্তৃপক্ষ।