আগামী জাতীয় নির্বাচনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কী হবে তা জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইউরোপের মতো বাংলাদেশে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিবন্ধিত না। কাজেই এসব মাধ্যমে ছড়ানো গুজব ঠেকানোই এখানে বড় চ্যালেঞ্জ।
সচিবালয়ে বুধবার তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে নির্বাচনের সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা জানতে চায় সফররত ইইউ প্রতিনিধিদল। আলোচনা শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি— বাংলাদেশের গণমাধ্যম মূলত বেসরকারি। সম্প্রচারে রয়েছে ৩৫টি বেসরকারি টেলিভিশন আর একটি বিটিভি। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোতে, বিশেষ করে সামাজিকমাধ্যমে যেসব গুজব ছড়ানো হয় এবং সময়ে সময়ে গুজব তৈরি হয়েছে, তাতে দেশে হানাহানি তৈরি হয়েছে। এ চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
‘আমাদের চ্যালেঞ্জ, সামাজিকমাধ্যমে যে গুজব ছড়ানো হয়, সেটি। তাতে করে দেশে হানাহানি তৈরি হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যে বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে, সামাজিকমাধ্যমের প্ল্যাটফরমগুলোর রেসপনসিবিলিটি (দায়িত্বশীলতা) আছে। আপনারা জানেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ বছরই আইন সংশোধন করেছে। তারা বলেছে, প্রতিটি সামাজিকমাধ্যমকে ইউরোপে নিবন্ধিত হতে হবে,‘ যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ কথাটি আমরা বহুদিন ধরেই বলে এসেছি। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সব সামাজিকমাধ্যমকে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বলে এসেছি, বাংলাদেশের আইন অনুসারে এখানে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য। কিন্তু এখনো হয়নি। ইউরোপে কিন্তু আইন সংশোধন করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি ফ্রেমওয়ার্ক ল’ তৈরি করেছে। সব সামাজিক মাধ্যমকে ইউরোপে নিবন্ধিত হতে হবে। আইন অনুসারে তারা এটি করতে বাধ্য।