নির্বাচনি আইনসহ দেশের বিভিন্ন আইন নিয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
ইইউ প্রতিনিধিদলের নেতা চেলেরি রিকার্ডোসহ তাদের দলের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী।
বৈঠকের সময় অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। বিক্ষোভে তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, নো মোর হাসিনা, উই ওয়ান্ট কেয়ারটেকার, নো মোর হাসিনা’ উই ওয়ান্ট ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন’, ডিএসএ ইজ এ ব্ল্যাক ল’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বেলা ৩টার দিকে বৈঠক শেষে ইইউ প্রতিনিধি দল বের হওয়ার সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাদের ঘিরে এসব স্লোগান দেন। এছাড়া কাগজে লেখা বিভিন্ন স্লোগান প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘ইইউ প্রতিনিধিদল নির্বাচনী আইন সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেছেন। নির্বাচনকালীন আরপিও আইন, ফৌজদারি আইন ও দেওয়ানী আইন এবং নাগরিকদের অধিকারের যে আইনগুলো আছে সেগুলো সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। জেনারেলি বাংলাদেশের আইনগুলো সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা আইনগুলোতে কী আছে না আছে সেগুলো বলেছি।’
গত ৮ ও ৯ জুলাই বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ঢাকায় আসেন ইইউ প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলের নেতা চেলেরি রিকার্ডো, সদস্য মেরি-হেলেন অ্যান্ডারলিনসহ ৫ জন সদস্য রয়েছেন। ২৩ জুলাই পর্যন্ত এই প্রতিনিধ দল আগামী জাতীয় নিবার্চন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিক্স ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় মূল্যায়ন করবেন। পরে ইউরোপীয় জোটের পররাষ্ট্র বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেফ বোরেলের কাছে তারা তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদনের আলোকে বাংলাদেশের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইইউ। এর মধ্যে তারা আওয়ামী লীগ, নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।