The news is by your side.

হ্যাকিং নয়, কারিগরি দুর্বলতায় তথ্য উন্মুক্ত ছিল: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

0 166

 

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সরকারি কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি এবং কোনো নাগরিকের তথ্যফাঁস হয়নি। ওয়েবসাইটের দুর্বলতার জন্য নাগরিকদের তথ্য উন্মুক্ত ছিল। এ সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ওয়েবসাইটটি নিজে থেকেই ভঙ্গুর ছিল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কারিগরি ত্রুটি ছিল। যে কারণেই তথ্যগুলো মানুষের কাছে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।’ তিনি আরও বলেন, এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘বাংলাদেশের একটি সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে কয়েক লাখ মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে।’ তবে নিরাপত্তার কারণে ওয়েবসাইটটির নাম প্রকাশ করেনি টেকক্রাঞ্চ।

সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রকল্প বিজিডি ই-গভ সার্ট বিষয়টি নিয়ে গতকাল শনিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের খবর নজরে আসার পর এ বিষয়ে কাজ শুরু করে সার্ট টিম। এই তথ্য ফাঁসের ব্যাপকতা এবং এর প্রভাব কী হতে পারে— তা নিয়ে ব্যাপক মাত্রায় কাজ করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার নিরাপত্তায় দুর্বলতার বিষয়ে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীন গত বছরের অক্টোবরে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ই-মেইল করা হয়। দুঃখজনকভাবে কেউ কেউ জবাব দেয় না, নির্দেশনা অনুসরণ করে না।

তিনি আরও বলেন, ‘আগে সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যয় সাশ্রয়কেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো। এখন বোঝা যাচ্ছে ডেটা হতে যাচ্ছে নতুন মুদ্রা। আমাদের ব্যয় সাশ্রয় করতে হবে, পাশাপাশি উপাত্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’

আগে থেকে প্রস্তুতি থাকলে, তারপর ঘটনা ঘটলে কিছু বলার থাকে। কিন্তু যথাযথ প্রস্তুতি না নেওয়ার পর ক্ষতি হয়ে গেলে সেই দায়ভার এড়ানো যায় না বলে মন্তব্য করেন পলক।

Leave A Reply

Your email address will not be published.