প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা এটাই আমার লক্ষ্য। একটি বাড়ি একটি খামার, ডিজিটাল বাংলাদেশ, কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার গ্রাম আমার শহর, নানা সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
রবিবার সকালে টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে এ পর্যন্ত আসা। এই সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, গ্রাম এখন আর গ্রাম নেই। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। রাস্তাঘাটের উন্নতি করেছি। তাই বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নয়নের রোলমডেল।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বাশার খায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী মনোযোগের সাথে শোনেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। এদেশের সর্বনাশ করে দেবে। সেটা যেন তারা না করতে পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এজন্য সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করে করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। তাই আপনাদের বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। অনাবাদি জমি চাষযোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। সেখানে শাক-সবজি ও ফসল উৎপাদন করতে হবে। বেশি করে গাছ লাগানোর ও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বয়সজনিত কারণে অবসরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও টুঙ্গিপাড়ার মানুষ তাঁকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। শেখ হাসিনাই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন- এ লক্ষ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সাহায্য করার কথা বলেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ। এ অনুষ্ঠানে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন ও পৌরসভার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।