বিএনপির প্রতিহিংসা ও আক্রোশের রাজনীতি রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সকল সীমা অতিক্রম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের বাস্তবতা বিবর্জিত বক্তব্য তাদের অন্তর্জ্বালার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘এবারের ঈদ সাধারণ মানুষের জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে আসেনি’ বক্তব্যকে নেতিবাচক ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দ উৎসব উদযাপন করছে। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও মানুষ নিরাপদে নির্বিঘ্নে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদ উৎসব উদযাপন করতে শহর ছেড়ে গ্রামে গিয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূল ও স্বস্তিদায়ক হওয়ায় পদ্মা সেতু এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক যানবাহন পারাপার হয়েছে। কোনোপ্রকার দুর্ভোগ-দুর্যোগ ছাড়া আনন্দ মনে সাধারণ মানুষের ঈদ উদযাপনই বিএনপি নেতাদের মন খারাপের কারণ।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ আনন্দে থাকলে বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহ হয়। জনগণ আনন্দে থাকুক, নিরাপদে থাকুক সেটা তারা চায় না। জনগণ কষ্টে থাকুক আর তারা জনগণের দুর্ভোগ নিয়ে রাজনীতি করবে, এটাই বিএনপি নেতারে বাসনা। বিএনপি যেনতেনভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে এতোটাই মরিয়া যে, তারা দেশের কিংবা দেশের জনগণের কোনো প্রকার কল্যাণ চিন্তা করতে পারে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণে সেসব দেশের বাজারে খাদ্যদ্রব্য রেশনিং করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার দেশের জনগণের কাছে খাদ্য সরবরাহ স্থিতাবস্থা এবং খাদ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের কাছে অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যাদি বিতরণ করছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাদখলে উন্মত্ত হয়ে বিএনপি নেতারা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরণের বিদ্বেষমূলক, বিভ্রান্তিকর ও সম্পূর্ণ বানোয়াট তথ্য দিয়ে সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে নানামুখী অপপ্রচার চালাচ্ছে। অনুরূপভাবে সাজানো ও সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তারা বিদেশি প্রভুদের কাছে তথাকথিত জুলুম-অত্যাচারের কাল্পনিক অভিযোগ উপস্থাপন করছে।