বাফুফের আবেদন খারিজ,দুর্নীতি অনুসন্ধানে নির্দেশ হাইকোর্টের
অর্থপাচার ও জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান ঠেকাতে পারলেন না সালাউদ্দিন
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফিফা এবং সরকারের দেওয়া অর্থ নিয়ে দুর্নীতি, অর্থপাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
তবে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান ঠেকাতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (২২ জুন) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল ভিত্তিতে আবেদনটি করেন তারা।
কিন্তু চেম্বার আদালত তাদের সেই আপিল খারিজ করে দিয়েছে। রোববার (২৫ জুন) চেম্বার আদালতে এই রায় দেওয়া হয়।
এর আগে, গত ৩ মে বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এতে কোনো ফল না পেয়ে তিনি ১৪ মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিটটি দায়ের করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৫ মে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
কাজী সালাউদ্দিন, সালাম মুর্শেদী ও সোহাগসহ বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থপাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা/ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
এরপর বাফুফের বিভিন্ন অনিয়ম ও কেলেঙ্কারি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। এর প্রেক্ষিতে কাজী সালাউদ্দিন ভুয়া ও মানহানিকর তথ্য অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
এরপর গত ১৪ জুন বিচারপতি জাফর আহমেদ ও মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ বাফুফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান শেষ না-হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মতামত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে সব পক্ষকে রুলসহ আদেশ দেন।