The news is by your side.

৬টি মরচুয়ারির ৫টিই বিকল, কুলার দিয়ে মর্গের ফ্রিজিং!

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

0 108

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের মর্গে মরদেহ সংরক্ষণের জন্য ৬টি মরচুয়ারী রয়েছে। এর মধ্যে ৫টিই বিকল হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘ দিন থেকে। চলছে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চিঠি চালাচালি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ঠিক হতে কত দিন লাগবে, বা মেরামত করা যাবে কিনা, এসব উত্তর কারো কাছ থেকেই।

২০২১ সালে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসের (আইসিআরসি) পক্ষ থেকে একটি মরচুয়ারি কুলার দেওয়া হয়েছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে। বর্তমানে সেই মরচুয়ারি কুলার দিয়েই চলছে ঢামেক হাসপাতাল মর্গের ফ্রিজিং ব্যবস্থা।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক কাজী গোলাম মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এখানে ৬টি মরচুয়ারির মধ্যে ৫টি মরচুয়ারি অনেক দিন থেকে নষ্ট হয়ে আছে।

আমরা এ বিষয়ে আমাদের কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি, তিন বার চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। কোনো রেজাল্ট হয়নি। আমরা এখন একটি মরচুয়ারির ওপর ভরসা করেই চলছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মরচুয়ারিতে ৫/৬ বছর থেকে   ৪/৫টি মরদেহ রাখা রয়েছে। যা আদালতের সিদ্ধান্ত না হওয়ায় পর্যন্ত এখানেই রাখতে হচ্ছে। এছাড়াও বেওয়ারিশ মরদেহ কয়েক দিন করে রাখতে হয়। এতে করে সব মিলিয়ে ১০/১৫টি মরদেহ প্রতিনিয়ত থাকে। অতি দ্রুত কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। কোনো রকম সমস্যা হওয়ার আগেই বিকল্প ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদের এখানে ৬টি মরচুয়ারি রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি আগেই বিকল হয়। একটি সম্প্রতি বিকল হয়ে এখন ৫টি বিকল হয়ে গেছে। রেড ক্রসের দেওয়া যে মরচুয়ারি কুলারটি ভালো আছে, সেটিতে ৪০টি মরদেহ রাখা যায়। এতে আপাতত চলে যাচ্ছে। তবে, আল্লাহ না করুক, এটি যদি এ মুহূর্তে কোনো সমস্যা হয়ে যায়, তাহলে কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই আমরা বিষয়টি নিমিউকে জানিয়েছি। আশা করি উনারা দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেবেন।’

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ইলেকট্রো – মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট মেইনটেনেন্স ওয়ার্কসপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (iememw)-এর  প্রকৌশলী ইমাম উদ্দিন বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে আমরা কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে আমরা দ্রত যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মরচুয়ারিগুলো কত বছরের পুরানো, তা মেরামত করা যাবে কিনা তাও দেখতে হবে। মেয়াদ ১০ বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেলে অনেক সময় সেগুলো আর ঠিক হয় না। যাই হোক, আমরা চিঠি পাওয়ার পর আমরা ব্যবস্থা নেব।’

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.