আফ্রিকার প্রতিনিধি দলের সফরের মধ্যেই এবার সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টাপাল্টি হামলার দাবি করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।
শনিবার খেরসনে রুশ বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রাগার গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। জবাবে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংসের পাল্টা দাবি করেছে মস্কো।
এ হামলার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো। পাল্টা ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা তবে মস্কোর একাধিক হামলা প্রতিহতের দাবি করেছে কিয়েভ।
গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের চেষ্টায় রয়েছে কিয়েভ। তবে, জেলেনস্কির দেশটি যে সহজেই এ সামরিক জোটটিতে যোগ দিতে পারবে না তা জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ন্যাটোতে যোগ দিতে হলে আগে ইউক্রেনকে অন্যান্য দেশের সমান মান অর্জন করতে হবে।
শিয়ার সেনাবাহিনীর একটি বড় অস্ত্র ভান্ডারে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। তাদের হামলায় অস্ত্র ভান্ডারটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে দেশটি।
ওডেসা সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাচুক জানান, তাদের সেনারা রোববার রুশ অধিকৃত খেরসনের বন্দর শহর হেইনচেস্কে হামলা চালান। এতে তারা সফলভাবে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ একটি অস্ত্র ভান্ডার ধ্বংস করে দেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সকালে, হেইনচেস্কের রায়কোভে, খুব ভালো একটি হামলা চালিয়েছে— এটি খুবই জোরে ছিল। সেখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অস্ত্র ভান্ডার ছিল। এটি ধ্বংস হয়েছে।’