যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে ছয় কংগ্রেসম্যানের পাঠানো চিঠির বিষয়ে তারা অবগত নয়। সেই সঙ্গে এটাও উল্লেখ করে, সাধারণত এসব চিঠির উত্তর গোপনীয়ভাবে দেওয়া হয়।
বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমি চিঠির বিষয়ে অবগত নই। আমরা সাধারণত কংগ্রেসের সদস্যদের কাছ থেকে যে চিঠিগুলো পাই, সে বিষয়ে মন্তব্য করি না।
তিনি জানান, মার্কিন প্রশাসন সাধারণত গোপনীয়ভাবে এ ধরনের চিঠির উত্তর দেয়; তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ব্যক্তিগত পর্যায়ে ও প্রকাশ্যে তাদের যেকোনো উদ্বেগ তুলে ধরবে।
প্রায় ২০০ জন বিশিষ্ট বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিকদের একটি জোট বলেছে, ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যান সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার দাবি করে জো বাইডেনকে যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য’ রয়েছে।
বাংলাদেশি আমেরিকানরা তাদের বিবৃতিতে বলেছেন, কংগ্রেসম্যানদের চিঠিটিতে বিশেষত ২০০১ সালের অক্টোবরের জাতীয় নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর করা সহিংসতাকে উপেক্ষা করে হয়েছে।
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মুখপাত্র মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সারাবিশ্বে গণতন্ত্রের প্রচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।এ কারণে তিনি নির্দিষ্টভাবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চান না।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক নীতির মধ্যে অবশ্যই বাংলাদেশ রয়েছে। শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার অগ্রগতির জন্য গণতন্ত্র হলো সবচেয়ে স্থায়ী উপায়। মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার প্রচার করা আমাদের প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি।