সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকে বানচাল এবং দেশ ধ্বংস করতেই লবিস্ট নিয়োগ করে চক্রান্ত করছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগের উদ্যোগে তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ এমপির চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ চিঠির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলা কিংবা সুষ্ঠু নির্বাচনের নামে নির্বাচন বানচাল করা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দিনের বেলায় জেগে জেগে স্বপ্ন দেখে অস্থির হয়ে তার মুখ বিষাক্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে তারা রাজনীতির নামে বড় বড় কথা বলেন। মিথ্যাচার করে বিদেশিদের উসকে দেন, তাদের কাছে নালিশ করেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে তারুণ্যের মিছিলের নামে ভাঙচুরের জবাব চাই। এসবের মূলে রয়েছে বিএনপি। বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করবে- গ্রেপ্তার হলে বলবে, মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, বিষোদগার বন্ধ করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনকে ‘কুত্তামার্কা’ নির্বাচন বলে বিএনপি। এজন্য বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ভয়ে সরকারের হাটুর কাঁপুনি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কাউকে ভয় পাই না। আমাদের শক্তির উৎস জনগণ। আমাদের দেশপ্রেম আছে। বঙ্গবন্ধুর কর্মীরা ভয় পায় না। আন্দোলনে ব্যর্থতার কারণে ডা. জাফরুল্লাহ বিএনপিকে হাঁটুভাঙা দল বলেছিল।
৫-৭ দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বিদ্যুৎ জ্বালানি সংকট সমাধানেও কাজ করছে সরকার। আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবেও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। কানাডার মতো দেশেও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আগুন জ্বলছে। আমেরিকার মতো দেশেও নদীতে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাধ্যমে পৃথিবীতে আরও একটি যুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে যুদ্ধে পানির স্বল্পতা দেখা দেবে।
বিশ্ব বিপর্যয়কর পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবুজের অভাবে বিশ্ব বিপর্যয়কর পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে যার শিকার হচ্ছে মানুষ। পরিবেশ বাঁচাতে বৃক্ষের ভূমিকা অপরিহার্য।
অগণতান্ত্রিক সরকারের প্রধান শত্রু হচ্ছে গাছ। এরশাদ-জিয়ার সময় প্রচুর বন ও গাছ ধ্বংস হয়েছে। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার সময়ও এ ধারা অব্যাহত ছিল। বিশ্ব সংকটের মধ্যেও কৃষি ঠিক আছে বলেই বাংলাদেশ ঠিক আছে। সরকারের উদ্ভাবনী সহযোগিতার ফলে কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য সংকট দূর হয়েছে।
সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বড় কর্তা ব্যক্তিরা কি এগুলো দেখে না?