The news is by your side.

সবচেয়ে বেশি ‘রাষ্ট্রহীন’ মানুষ থাকে বাংলাদেশে

0 111

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমার তার নাগরিক হিসেবে স্বীকার না করায় বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে তারা স্টেটলেস (রাষ্ট্রহীন)। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ‘রাষ্ট্রহীন’ এখন বাংলাদেশে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হিসাবে ২০২২ সাল শেষে বাংলাদেশে রাষ্ট্রহীন মানুষের সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩০০। গতকাল বুধবার ইউএনএইচসিআর প্রকাশিত ‘২০২২ সালের বৈশ্বিক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির প্রবণতা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য রয়েছে।

২০১৬ সালে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বড় অংশকে বাংলাদেশে চলে আসতে বাধ্য করে মিয়ানমার। ওই দেশটিতে এখনো ছয় লাখ ৩০ হাজার রাষ্ট্রহীন মানুষ আছে। তারা মূলত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। রাষ্ট্রহীন মানুষের উপস্থিতির তালিকায় মিয়ানমার আছে তৃতীয় স্থানে।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইভরি কোস্টে রাষ্ট্রহীন মানুষের সংখ্যা ৯ লাখ ৩১ হাজার ১০০।

মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ। আবার একই সময়ে বাংলাদেশিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয়লাভের চেষ্টা করছে। গত বছর প্রায় ৩৮ হাজার ৯০০ বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয়ের আবেদন করেছে।

ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২২ সাল শেষে বিশ্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৮৪ লাখ। সুদানে দুই মাসের সংঘাতে এটি এখন বেড়ে ১১ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। গত বছর বিশ্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ মানুষ। ইউএনএইচসিআর বলেছে, এর আগে কখনো এক বছরে বাস্তুচ্যুতি এত বাড়েনি।

 

ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, ইউক্রেন ও সুদানের সংঘাতে লাখ লাখ মানুষ শরণার্থী হওয়ায় বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়ে রেকর্ড ১১ কোটিতে পৌঁছেছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.