কক্সবাজারের মহেশখালীতে তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের কাজও পেতে যাচ্ছে দেশীয় কোম্পানি সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং লিমিটেড। এ টার্মিনাল থেকে দিনে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি পাইপলাইনে সরবরাহ করা যাবে।
সামিটকে মহেশখালীতে তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের কাজ দিতে পেট্রোবাংলার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান এ তথ্য জানান।
সাঈদ মাহবুব বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক কক্সবাজারের মহেশখালীতে দৈনিক ৬০০ এমএমসিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের কাজ সামিটকে দেওয়ার প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তবে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এ টার্মিনাল স্থাপনে আগ্রহী ছিল কি-না জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে বর্তমানে ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল চালু আছে। এর একটি পরিচালনা করছে সামিট। অপরটির দায়িত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি।
একইদিন ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পেট্রোবাংলা জন্য উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি এলপির কাছ থেকে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট খরচ হবে ৫৭৪ কোটি ৬৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩০২ টাকা। প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ১৩ দশমিক ৯ ডলার।