শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। ইংল্যান্ডের ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দ্বিতীয় দিন শেষে বেশ শক্ত অবস্থানেই আছে অজিরা। ট্রাভিস হেড ও স্টিভেন স্মিথের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪৬৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে দলটি।
বোলিংয়ে ব্যর্থতার পর ব্যাটিংয়েও অদক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে ভারতীয়রা। আর সিদ্ধান্তে ভুল করার কারণে সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির রোষানলেও পড়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও কোচ রাহুল দ্রাবিড়। এমনকি তাদেরকে খোঁচা দিতেও ভোলেননি সাবেক এ অধিনায়ক।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে রোহিত শর্মার দল। প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের কাছে শিরোপার মুকুট হারায় দলটি। তাই আবারও সুযোগ পেয়ে শিরোপার শ্রেষ্ঠত্ব ছিনিয়ে আনতে বদ্ধ পরিকর ছিল কোহলি-রোহিতরা। এ জন্য ওভালের গ্রিন পিচে চার পেসার নিয়েই মাঠে নেমেছিল ভারতীয় শিবির। এ কারণে একাদশ থেকে বাদ পড়েন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ বোলার রবীচন্দ্রন অশ্বিন। মূলত এ কারণেই খেপেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ।
ফাইনালের প্রথম দিনে অজিদের তিন উইকেট তুলে নিয়ে দাপট দেখিয়েছিল ভারতীর পেসাররা। কিন্তু এদিনই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখে ফেলে গরম বিবেচনায় অশ্বিনের একাদশে জায়গা না হওয়া দলটি। হেড-স্মিথের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ক্রমেই ধূলিসাৎ হতে শুরু করে ভারতের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জনের স্বপ্ন। তাদের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পায় অজিরা।
এদিকে বোলিং ব্যর্থতার পর ব্যাটিংয়েও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে ভারতীয় শিবির। দলীয় মাত্র ৭১ রানেই দলের সেরা ব্যাটারদের হারায় ভারত। রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলিদের কেউই ক্রিজে দীর্ঘ সময়ের জন্য থিতু হতে পারেননি। তারা ফিরলে দলের হাল ধরেন রবীন্দ্র জাদেজা ও অজিঙ্কা রাহানে।
এ দুই মিডল-অর্ডারের ৭১ রানের জুটিতে হালে পানি পায় ভারতীয় দল। কিন্তু নাথান লায়নের টোটকায় জাদেজা প্যাভিলিয়নে ফিরলে আবারও মেঘ ঘনিয়ে আসে রোহিত শর্মার দলে। আর অজি স্পিনারের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে জাদেজা ফেরার পরেই অশ্বিনের না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সৌরভ।
তার (সৌরভ) ভাষ্যমতে, অশ্বিনের মতো ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়কে না নিয়ে, একটা সুযোগ নষ্ট করেছে ভারত। তাকে খেলালে ভালো একটি সংযোজন হতে পারতো। কারণ, বোলিংয়ে জাদেজা অপর প্রান্ত থেকে সহযোগিতা পাচ্ছে না। জাদেজা একপাশ থেকে চাপ তৈরি করছে ঠিকই, কিন্তু অপর পাশ থেকে রান আটকানোর মতো কেউ নেই।