প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। বিএনপির আমলে ভয়ে ঘরে থাকতে পারেননি আওয়ামী লীগ নেতারা।
শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন দুর্নীতির কারণে কমে গিয়েছিল। আমরা এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি। তাদের কাজই হলো দুর্নীতি করা, লুটপাট করা আর মানুষকে নির্যাতন করা। হাওয়া ভবন খুলে লুটপাট করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে এতিমের টাকা এসেছিল, সেই টাকা চলে গেল খালেদা জিয়ার অ্যাকাউন্টে। সেই মামলায় খালেদা জিয়া এখন জেল খাটছেন। তার ছেলেও দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ যেন উঠে দাঁড়াতে না পারে, সে চেষ্টা করেছিল বিএনপি। খালেদা জিয়ার নির্দেশে সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা কর্মীতে সেই আদর্শ বুকে ধারণ করে জনগণের জন্য কতোটুকু করতে পারলাম সেই কথা চিন্তা করতে হবে। জনগণকে কি দিতে পারলাম সেই চিন্তা করতে হবে। জনগণের কল্যাণ কিসে হবে সেই চিন্তা করতে হবে। আজ আমাদের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আর এটা অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনগণের টাকা জনগণের কল্যাণের জন্য ব্যবহৃত হবে।
এ সময় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের জীবনযাপন উন্নয়ন করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি, জনগণের পুষ্টির দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা ঢাকা শহরে ১১টি সরকারি স্কুল ও ছয়টি কলেজ করে দিচ্ছি। এভাবে বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক সরকারি স্কুল করা কিংবা যেখানে স্কুল নেই সেখানে সরকারি স্কুল করার ব্যবস্থা করছি।’
এর আগে সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৩টায় রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই নগরীর দুই শাখার নবনির্বাচিত নেতাদের নাম ঘোষণা করবেন সেতু ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।