সরকারি অনুদানের সিনেমায় এক সঙ্গে অভিনয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই নায়ক-নায়িকা ফেরদৌস ও পূর্ণিমা। ছটকু আহমেদ পরিচালিত এ সিনেমার নাম ‘আহারে জীবন’।
এরইমধ্যে ফেরদৌস ও পূর্ণিমা এ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। তারও আগে প্রায় শেষ করেছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের পরিচালনায় ‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’ সিনেমার কাজ।
এ জুটির তিনটি সিনেমাই এখন রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। ‘গাঙচিল’ নির্মিত হয়েছে ওবায়দুল কাদেরের উপন্যাস অবলম্বনে। অন্যদিকে ‘জ্যাম’ প্রযোজনা করেছে প্রয়াত নায়ক মান্নার প্রযোজনা সংস্থা কৃতাঞ্জলী। এদিকে গত ঈদে পূর্ণিমা অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘হোটেল রিল্যাক্স’ও এরইমধ্যে বেশ আলোচনায় এসেছে। এতে অভিনয়ের জন্যও প্রশংসিত হচ্ছেন পূর্ণিমা। এটি নির্মাণ করেছেন কাজল আরেফিন অমি।
তিনটি সিনেমা প্রসঙ্গে ফেরদৌস বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে পূর্ণিমাই আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আমাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক অটুট সবসময়। পূর্ণিমার সঙ্গে এর আগেও বেশ কিছু সিনেমাতে কাজ করেছি। সেগুলো দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় যে তিনটি সিনেমা রয়েছে প্রত্যেকটি সিনেমারই কিন্তু গল্প এককথায় অসাধারণ। আমাদের দুজনেরই চরিত্রে যেমন রয়েছে বিচিত্রতা, লুকেও ভিন্নতা আছে। চেষ্টাও করেছি নিজেদের চরিত্র সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে। আশা করা যায় সিনেমাগুলো মুক্তি পেলে দর্শক মুগ্ধ হবেন।’
পূর্ণিমা বলেন, ‘সত্যি বলতে কি ফেরদৌসের সঙ্গে সিনেমাতে অভিনয় করলে শতভাগ কম্পোর্ট জোনে কাজ করা যায়। যেহেতু আমার বন্ধু ফেরদৌস, তাই নিজেদের মতো করেই সবকিছু গুছিয়ে সিডিউল দিয়ে কাজটা ভালোভাবে করা যায়। ‘আহারে জীবন’, ‘গাঙচিল’, ‘জ্যাম’—তিনটি সিনেমা আমরা বেশ আন্তরিকতা নিয়ে সম্পন্ন করেছি। আমিও ভীষণ আশাবাদী সিনেমাগুলো নিয়ে।’
পূর্ণিমা তার বিবাহবার্ষিকী উদ্যাপন করেছেন। গত ১৫ মে ছিল চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার ২৫ বছর পূর্তির দিন। আর ফেরদৌস আপাতত টানা কয়েকদিন পরিবারকেই একটু বেশি সময় দিবেন। কারণ তার বড় মেয়ে নুজহাতের পরীক্ষা চলছে। এর পরপরই তিনি সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘দখিন দুয়ার’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিবেন।