মাইলফলকের ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন লিওনেল মেসি। বার্সেলোনার জার্সিতে সাতশতম ম্যাচ খেলতে নেমে স্বমহিমায় জ্বলে উঠলেন লিওনেল মেসি। ঐতিহাসিক ক্ষণে জাদুকরী পারফরম্যান্সও প্রদর্শন করেছেন ছোট ম্যাজিসিয়ান। দারুণ এক গোল করার আগে-পরে দুই সতীর্থের গোলে রাখলেন অবদান। ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে অধিনায়কের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৩-১ গোলে জার্মান ক্লাব ডর্টমুন্ডুকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নকআউট পর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছে কাতালান ক্লাবটি।
বুধবার রাতে হাইভোল্টেজ ম্যাচে ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে বরুশিয়াকে আতিথ্য দেয় বার্সা। শুরুটা শুভ করেন স্বাগতিকরা। মুহুর্মুহু আক্রমণে প্রতিপক্ষকে ব্যতিব্যস্ত রাখেন তারা। যদিও সাফল্য পেতে সময় লাগে।
বার্সা প্রথম গোল পায় ২৯ মিনিটে। দারুণ গোলে দলকে লিড এনে দেন লুইস সুয়ারেজ। তাতে ছিল মেসির আলতো ছোঁয়া। সেই রেশ না কাটতেই নিশানাভেদ করেন আর্জেন্টাইন ওয়ান্ডারম্যান। ৩৩ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
এতে ইউরোপের এ প্রতিযোগিতায় ৩৪ দলের বিপক্ষে গোল করার কীর্তি গড়েন মেসি। ছাড়িয়ে যান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও রাউল গঞ্জালেসকে। এ লিগে ৩৩টি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোল করার কীর্তি রয়েছে এ দুই কিংবদন্তির।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেও আক্রমণের গতি ধরে রাখেন স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ছন্দময় ফুটবল উপহার দেন তারা। ফলে ফের সাফল্য পেয়ে যান। ৬৭ মিনিটে ঠিকানায় বল পাঠিয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন আঁতোয়া গ্রিজম্যান। তাতেও ছিল মেসির টোকা। কার্যত এখানেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের।
এর পর সাইড বেঞ্চ বাজিয়ে নেয় বার্সা। একের পর এক বদলি খেলোয়াড় মাঠে নামান কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে। এ সুযোগে ৭৭ মিনিটে বরুশিয়ার হয়ে ১ গোল পরিশোধ করেন জ্যাডোন সানচো। এতে অতিথিদের শুধু ব্যবধানই কমেছে। শেষ অবধি পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়েন ভালভার্দের শিষ্যরা।