ঢাকায় নিযুক্ত ভারত, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতদের জন্য শর্তসাপেক্ষে পুলিশের নেতৃত্বে এসকর্ট সুবিধা বহাল থাকার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে দূতাবাসগুলোর চাহিদা সাপেক্ষে এসকর্ট সুবিধা বহাল থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে আগুন সন্ত্রাসের প্রেক্ষিতে কয়েকজন রাষ্ট্রদূতকে বাইরে চলাফেরার সময় পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে সার্বক্ষণিক এসকর্ট সুবিধা দেওয়া হতো। কিন্তু এখন আগের পরিস্থিতি না থাকায় তাদের এসকর্ট সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছিল। তবে রাষ্ট্রদূতরা চাইলে আবারো এসকর্ট সুবিধা ফিরে পাবেন।
তিনি বলেন, শর্তসাপেক্ষে সবাই এসকর্ট সুবিধা ফিরে পাবে। রাষ্ট্রদূতদের এসকর্ট সুবিধা দেওয়ার জন্য আমাদের আনসার গার্ড রেজিমেন্ট সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কোনো দূতাবাস যদি মনে করে তাদের এসকর্ট সুবিধা দরকার, তাহলে তারা সেই সুবিধা নিতে পারবে। একজন পুলিশ কমান্ডারের নেতৃত্বে তাদের এসকর্ট সুবিধা দেওয়া হবে।
গত ১৪ মে এক আকস্মিক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে নিযুক্ত সব দেশের রাষ্ট্রদূতদের একই ধরনের নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আরবের মিশন প্রধানরা ঢাকায় যে বিশেষ প্রটোকল পেতেন তা আর পাচ্ছেন না। এছাড়া বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা পতাকা উড়িয়ে চলাচল করতে পারবেন না বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
আমার কাছে যেটা সঠিক মনে হয়, সেটাই করি: আনুশকা শর্মা
সিনেমা দিয়ে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন আনুশকা শর্মা। তার ক্যারিয়ারে রয়েছে ‘রাব নে বানা দে জোড়ি’, ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’, ‘যাব তাক হ্যায় জান’, ‘পিকে’, ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ কিংবা ‘সাঞ্জু’র মতো দর্শকনন্দিত সিনেমা। সেই আনুশকাকে গত পাঁচ বছর ধরে বড় পর্দায় পাওয়া যায়নি।
কন্যাকে ঘিরেই আনুশকার যত ব্যস্ততা। মেয়েকে দেওয়ার পর যদি সময় অবশিষ্ট থাকে, তবেই তিনি অন্য কাজ করতে চান। সাফল্য আর ব্যস্ততায় মোড়ানো ক্যারিয়ারে আনুশকার এমন সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে অনেক বড় স্যাক্রিফাইস।
এ প্রসঙ্গে আনুশকা বললেন, ‘আমি জানি, আমার মেয়ে এমন বয়সে আছে, যেখানে তার অনেকটা সময়জুড়ে আমাকে দরকার। বিরাট অসাধারণ বাবা। অভিভাবক হিসেবে সে খুব যত্নশীল। কিন্তু এই বয়সে, ওর (ভামিকা) আমাকেই বেশি প্রয়োজন। এটা আমরা বুঝতে পারি।’
আনুশকার স্পষ্ট কথা, তিনি বছরে সর্বোচ্চ একটি ছবিতে কাজ করতে চান। বাকি পুরোটা সময় দিতে চান কন্যা ভামিকাকে। কারণ তিনি জীবনে ভারসাম্য রাখতে পছন্দ করেন।
২০২১ সালে ভামিকার জন্ম হয়েছে। এরপর থেকে এখনও অব্দি মেয়ের চেহারা প্রকাশ্যে আনেননি আনুশকা-বিরাট। এ কারণে অবশ্য নেটিজেনের সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। তবে সেসবে পাত্তা দিতে নারাজ তিনি। তার ভাষ্য, ‘আমার কাছে যেটা সঠিক মনে হয়, সেটাই করি। এর জন্য অন্য মানুষের মতামত নিয়ে ভাবি না। মাতৃত্ব আমাকে এই অনুভব দিয়েছে। কারণ অভিভাবক হিসেবে, একজন মা হিসেবে আপনার নিজেকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। কেননা আপনি এমন একজনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, যে খুব ছোট এবং অনেক কিছুতেই অক্ষম।’