বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (পুরোনো জেএমবি) উত্তরাঞ্চলীয় প্রধানসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে অস্ত্রসহ গ্রেনেড তৈরির বিপুল সরমঞ্জাদি উদ্ধার হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার পাকুড়তলা এলাকা থেকে এই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা ও জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার বেলা ১১টায় বগুড়ার পুলিশ সুপারের সন্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা।
তিনি জানান, শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার পাকুরতলা বাসস্ট্যান্ডে জনৈক কনকের টেলিকম দোকানের সামনে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের পূর্ব পাশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে জঙ্গিরা গোপন বৈঠক করছিল। তাদের এ বিষয়ে জানতে চাইলে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের শরীর তল্লাশি করে তিন রাউন্ড গুলিসহ পিস্তল,দেশীয় অস্ত্র,বিস্ফোরক,গ্রেনেড তৈরির বিপুল সরমঞ্জাদি উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেএমবির উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান আতাউর রহমান ওরফে আরাফাত ওরফে হারুন, সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে নাহিদ (৪২), জহুরুল ইসলাম ওরফে সিদ্দিক (২৭) ও মিজানুর রহমান (২৫)।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার হওয়া লোকজনের কাছ থেকে একটি পিস্তল, তিনটি গুলি, দুটি চাপাতি, বিস্ফোরক তৈরির পাউডার, গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম ও চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হবে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নর জবাবে জানান, তাদের খারাপ কোন উদ্দেশ্য ছিল। সেজন্যই এই গোপন বৈঠক করছিল। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসা করলে বিস্তারিত জানা যাবে।