পাকিস্তানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সুসংহত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে চিঠি দিয়েছেন অন্তত ৬৬ জন মার্কিন আইনপ্রণেতা।
এখন পর্যন্ত বাইডেন প্রশাসন পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনো পক্ষ নেননি। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বারবার বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন পাকিস্তানের কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিপক্ষে গিয়ে অন্য একটির পক্ষে দাঁড়াবে না।
পাকিস্তানি আমেরিকান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির (পিএকেপিএসি) উদ্যোগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এই চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে আইনপ্রণেতারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, ‘পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের উদ্বেগ জানাতে চিঠি লিখছি। আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনি সব কূটনৈতিক হাতিয়ার ব্যবহার করে পাকিস্তানের সরকারকে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের বৃহত্তর প্রতিশ্রুতির বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করুন।
ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান এলিসা স্লটকিন ও রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ব্রায়ান ফিটজপ্যাট্রিকসহ ৬৬ আইনপ্রণেতার লেখা চিঠিটি ইমরান খান গ্রেপ্তারের পর প্রকাশ পায়। ইমরান গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ-সংঘর্ষ হয়। গ্রেপ্তারের পরে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ঘটে।
চিঠিতে আইনপ্রণেতারা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বরণ করিয়ে দেন যে, পাকিস্তানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের অংশ।