The news is by your side.

একমাত্র শেখ হাসিনার হাতেই দেশ ও জাতি নিরাপদ: আব্দুল কাদের খান

0 1,413

সমাপ্তি পান্ডে

একদিকে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র এবং অপতৎপরতা, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র;   এমন বাস্তবতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই দেশ ও জাতি নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের খান।

ভিশন নিউজ ২৪ কে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারাবরণকারী আওয়ামী লীগের এ দুঃসময়ের নেতা বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা বাঙালির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল- সেইসব দেশদ্রোহী অপশক্তি এবং তাদের সহযোগীরা এখনো সক্রিয় ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে তারা আবার ষড়যন্ত্রের নতুন জাল বুনছে । তবে এদেশের একজন মুক্তিযোদ্ধা জীবিত থাকতেও তাদের   চক্রান্ত সফল হবে না।

গত সাড়ে ১৪   বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার স্বপ্নের গন্তব্যে পা রেখেছে উল্লেখ করে আব্দুল কাদের খান বলেন,  যতই বিভ্রান্তি ছড়ানো হোক তরুন প্রজন্ম ঠিকই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পথ চলবে। পাঁচ দশকের   বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় সৎ, সাহসী এবং পরীক্ষিত এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করবে।

ঢাকা মহানগর উত্তরা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের খানের সাক্ষাৎকার ভিডিওসহ বিস্তারিত তুলে ধরা হলো। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন ভিশন নিউজ ২৪ এর   নিজস্ব প্রতিবেদক সমাপ্তি পান্ডে।

প্রশ্ন: ২০০৯ থেকে ২০২৩। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল সহ বৃহৎ  অনেক প্রকল্প  ।  এত কিছুর  পরেও এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে আওয়ামী- বিরোধী মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। কেন?

কাদের খান:   জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল   ১৯৭১ সালে।

একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি দেখেছি-  সংখ্যায় কম হলেও এদেশের কিছু রাজাকার, আল বদর, আলশামস পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের সহায়তা করেছে এবং তারাই ৭৫ এ জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল।

আপনারা জানেন, জিয়াউর রহমান এবং খন্দকার মোশতাকের পরিকল্পনা এবং নির্দেশে সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়।  মূলত তখন থেকেই বাংলাদেশ বিপরীত স্রোতে হাঁটতে শুরু করে। ভূলুণ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।  মুক্তিযুদ্ধের ভুল ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম চাপিয়ে দেয়া হয়।  যে কারণে দেশে এখনো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ এবং বিপক্ষ শক্তি বলে আমাদেরকে কথা শুনতে হয়, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিষয়টি লজ্জার এবং দুঃখজনক।

যারা সেদিন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, যারা সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল, যারা বারবার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে  ; মূলত তারাই আজ আওয়ামী লীগের এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের বিরোধিতা করছে, এটি নতুন কিছু নয়।

যখনই নির্বাচন আসে তখনই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, কখনো কখনো বিদেশি অপশক্তি ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে।  কিন্তু একথা ঠিক, ষড়যন্ত্রকারীরা কখনো বিজয়ী  হয়নি, হবে না।

যে বা যারাই আওয়ামী বিরোধিতা করুক, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করবে।   একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রত্যয়ের সঙ্গে বলতে পারি- এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যেমনি  আওয়ামী লীগের বিকল্প কোন রাজনৈতিক দল নেই;  একইসঙ্গে শেখ হাসিনার বিকল্প কোন নেতৃত্বও নেই।  শেখ হাসিনার বিকল্প,  একমাত্র শেখ হাসিনাই।

প্রশ্ন:  ১৪ বছরেও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে রয়েছে।  আমরা লক্ষ্য করছি-  তৃণমূল আওয়ামীলীগ কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ  এবং অভিমান রয়েছে। পাওয়া, না পাওয়ার আফসোস রয়েছে। বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখেন? আপনার কোন  অভিমান রয়েছে কিনা?

কাদের খান:  আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। আমার আবার কিসের অভিমান। তবে হ্যাঁ, তৃণমূল কর্মীদের অভিমান রয়েছে। আমরা তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারিনি। এর পেছনে অবশ্য বড় একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে।

প্রশ্ন:   ৭০ এর  নির্বাচনে,  আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে-  নৌকার জন্য ভোট চাইতে হয়নি, মানুষ নৌকায় ভোট দিতে পেরে  গর্ব অনুভব করেছে।  ২০২৩  সালের বাস্তবতা কি একই রকম,  নাকি ভিন্ন?

কাদের খান:   ৭০ এর   নির্বাচন ছিল মূলত,  একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি। তখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ ছিল। লক্ষ্য ছিল – পাকিস্তানি শাসন এবং শোষণ থেকে মুক্তি। বর্তমানেও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন এবং তার নেতৃত্বে জাতি ঐক্যবদ্ধ। তারপরেও বলবো- ৭০ এর বাস্তবতা এবং ২০২৩ সালের বাস্তবতা এক নয়।

প্রশ্ন:  ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামী দিনে আপনার প্রত্যাশা  কি?

কাদের খান:   ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন হিসেবে জাতির পিতা নির্দেশে কাজ করেছি।

দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেছি।  আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী নেতা- কর্মীদের পাশে থেকে, গণমানুষের পাশে থেকে কাজ করবার চেষ্টা করেছি। একজন মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে স্পষ্ট করে বলতে চাই, জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া-  স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ-  উপহার পেয়েছি।

পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। সত্যি কথা বলতে, ব্যক্তিগতভাবে আমার চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই।  দলীয় পদ- পদবীর প্রতি কোন আকাঙ্ক্ষা নেই। সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা নেয়ার মোহ কোনকালেই ছিল না।

আমার প্রথম এবং শেষ পরিচয়-  আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে  জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে যেতে চাই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.