নিত্যপণের বাজারে পেঁয়াজ ও লবণের ঘাটতি নিয়ে ছড়ানো গুজবে মনোযোগ না দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, “মাঝে মাঝে আমরা দেখি, অনেক সময় অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়। আমি সবাইকে একটা কথা বলবো এই অপপ্রচারে কান দেবেন না। এই পেঁয়াজ নাই, লবণ নাই, এটা নাই, সেটা নাই-নানান ধরনের কথা প্রচার হয় এবং এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ফেলে বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়।”
তিনি বলেন, ‘এটা করবে আমি জানি, এটাই স্বাভাবিক। এটাকে মোকাবেলা করেই আমাদের চলতে হবে। আমরা সেভাবেই চলছি। এদিক থেকে আমি বলবো, আজকে আমাদের মাছ উৎপাদন বেড়েছে, তরি তরকারি উৎপাদন বেড়েছে। খাদ্য এবং পুষ্টির দিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছি।’
‘আজকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বরং এখন উদ্বৃত্ত খাদ্যের দেশ বাংলাদেশ। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য যথাযথ কাজ হাতে নিয়েছি এবং এটা আমরা অব্যবহত রাখবো।’
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের সামগ্রিক মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জণগণের ভাগ্য উন্নয়নে যা যা করা দরকার, সবই করছে সরকার। এসময় পুনরায় দেশ পরিচালনার সুযোগ দেয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিজয়ের ইতিহাস আমাদের নতুন প্রজন্মের যারা আসবে তারা জানবে, বিজয়ী জাতি হিসেবে নিজেদের আত্মমর্যাদা বোধ গড়ে উঠবে। মাথা উঁচু করে চলতে শিখবে তারা। কারো কাছে হাত পেতে নয়, আমরা আমাদের নিজেদের সম্পদ দিয়ে নিজেদের গড়ে তুলবো। বিশ্ব সভায় সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবো।’
‘কারণ আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। আমাদের দেশে ভবিষ্যত প্রজন্মকে আমরা সেভাবে গর্বিত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই,’ যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, বীরত্বের খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ১০১ জন অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের হাতে সম্মাননা চেক হস্তান্তর করেন।