ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে শুক্রবার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে বাংলাদেশের সামনে ৩২০ রানের বড় লক্ষ্য দেয় আইরিশরা। বড় রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে বিপদেই পড়ে। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ফিরে যান অল্প রান করেই। এরপর দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারেননি সাকিব আল হাসান-লিটন দাসও। তাদের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয় ব্যাটে ভর করে জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজের ক্যামিও ও মুশফিকুর রহিমের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগার বাহিনী।
চেমসফোর্ডে বৃষ্টির বাঁধায় ম্যাচ নেমে আসে ৪৫ ওভারে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনিং জুটিকে হারিয়ে খানিকটা বিপাকে পড়ে আয়ারল্যান্ড। তবে তিনে নামা অ্যান্ডি বালবার্নিকে সাথে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান টেক্টর। ধকল সামলে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। ৫৭ বলে ৪২ রান করে অ্যান্ডি ফিরলেও হাল ধরে থাকেন টেক্টর। এরপর কিছুটা ভাঙন ধরে আইরিশ শিবিরে। লোরকান টাকার আর কার্টিস ক্যাম্ফার টেক্টরকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। তবে সাতে নামা জর্জ ডকরেল টেক্টরের সাথে হাল ধরেন।
৬৮ বলে ১১৫ রানের জুটি গড়েন তারা। ১১৩ বলে ১৪০ রান করে এবাদত হোসেনের শিকার হয়ে ফেরেন টেক্টর। আর ৪৭ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন ডকরেল। টাইগারদের হয়ে দুইটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও শরীফুল ইসলাম। বাকি দুই উইকেট পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থ হন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তামিম ৭ ও লিটন ২১ রান করে বিদায় নেন। দলীয় ৪০ রানে দুই ওপেনকে হারিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা সাকিবও বিদায় নেন দলীয় ১০১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৬ রানে। এরপর তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়কে সাথে নিয়ে অবিশ্বাস্য এক সেঞ্চুরি তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮৩ বলে ১১টি বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শান্ত।
সেঞ্চুরি না পেলেও অসাধারণ এক ইনিংস উপহার দেন হৃদয়। তিনি ৫৮ বলে ৬৮ রান করে বিদায় নেন। বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ৪ উইকেটে ২৩২ রান। তবে সতীর্থকে হারিয়ে ফিরে যান শান্তও। তিনি ফেরেন ৯৩ বলে ১১৭ রানে ঝড়ো ইনিংস খেলে। শেষ দিকে মুশফিকের সাথে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ বলে ১৯ রান করে বিদায় নেন মিরাজ। এরপর শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে নো বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। তিনি ২৮ বলে করেন অপরাজিত ৩৬। এছাড়া তাইজুল বিদায় নেন ৯ রান করে। অপরপ্রান্তে পেসার শরিফুল ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।