প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারির প্রতিবাদ পাকিস্তানের গণ্ডি ছাড়িয়ে এ বার ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের নানা প্রান্তে।
লন্ডনে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফের বাড়ি ঘেরাও করে ফেলেছেন ইমরানের সমর্থকেরা। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। কানাডা, আমেরিকাতেও ‘ক্যাপ্টেন’কে গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।
আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতিকাণ্ডে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরানকে গ্রেফতারির পর থেকেই অশান্ত হয়ে ওঠে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রায় সবক’টি বড় শহরে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁর সমর্থকেরা। পিটিআই সমর্থকেরা হামলা করেন রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরে। বিক্ষোভের আঁচ থেকে বাঁচেনি পেশোয়ার, করাচি, লাহোরের সেনা শিবির, ছাউনিও। এই পরিস্থিতিতে নাগরিকদের জন্য পাকিস্তানে যাওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং কানাডা।
আমেরিকা গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। পাকিস্তানে তাদের যে সমস্ত কূটনীতিকরা আছেন, তাঁদের নিরাপত্তার দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। একই ভাবে নাগরিকদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে ইংল্যান্ড এবং কানাডাও।
আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ডে বসবাসকারী পাকিস্তানিদের একটি অংশ ইমরানকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। আমেরিকায় সিএনএনের সদর দফতরের সামনে পাক সরকারের ‘গুন্ডামি’র প্রতিবাদ জানানো হয়। কানাডাতেও বিরাট জমায়েত থেকে ইমরানকে মুক্তি দেওয়ার দাবি ওঠে।
ইমরানকে গ্রেফতারি এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহকে রাজনৈতিক কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হিসাবেই দেখছে আমেরিকা। তাই আপাতত সে দেশে যাত্রার ক্ষেত্রে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি না হলেও নাগরিকদের চোখ, কান খোলা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই পদক্ষেপ ইংল্যান্ড, কানাডারও।