ভারতীয় অভিনেত্রী ক্রিস্যান পেরেইরা। অভিনয় করেছেন মহেশ ভট্টের ‘সড়ক ২’ ছবিতে। আলিয়া ভট্ট, আদিত্য রায় কপূর, সঞ্জয় দত্তের মতো অভিনেতার সঙ্গে এক ছবিতে কাজ করেছেন ক্রিস্যান।
দুবাইয়ের শারজার বিমানবন্দরে মাদক-সহ ধরা পড়েন ক্রিস্যান। মাদক-সহ ধরা পড়ার পর থেকেই জেলবন্দি তিনি। অবশেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪৮ঘন্টার মধ্যেই তিনি ভারতে ফিরে আসবেন এমনটাই জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে।
এক কাজের সুযোগ পেয়ে দুবাইয়ে গিয়েছিলেন ক্রিস্যান পেরেইরা। তার পর ১০ এপ্রিল তাঁর পরিবারের কাছে খবর আসে, মাদক পাচার করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ক্রিস্যান। যদিও ক্রিস্যানের মা প্রেমিলা পেরেইরার দাবি, তাঁর মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে।
তিনি জানান, রবি নামক এক ব্যক্তি আন্তর্জাতিক এক সিরিজ়ে কাজের বিষয়ে যোগাযোগ করেন তাঁর সঙ্গে। একাধিক আলোচনার পরে দুবাইয়ে ক্রিস্যানের অডিশন চূড়ান্ত হয়। বিদেশে যাওয়ার সব আয়োজনও নাকি ওই ব্যক্তিই করে দিয়েছিলেন। প্রথম থেকেই অভিনেত্রী ক্রিস্যান পেরেইরাকে ফাঁসানোর দাবি করে আসছিলেন মা প্রেমিলা। এখন মেয়ের মুক্তির খবরে খুশিতে আত্মহারা।
তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যারা কঠিন সময়ে আমাদের সমর্থন করেছেন, আমাদের পাশে ছিলেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমি আমার মেয়েকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছি”।
১ এপ্রিল শারজাহ বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন অভিনেত্রী। বিমানবন্দর চেকিংয়ের সময় অভিনেত্রীর ব্যাগ থেকে একটি ট্রফি পাওয়া যায়, যাতে মাদক ছিল বলে দাবি পুলিশের। সেই থেকেই শারজাহ’র জেলে বন্দী ছিলেন তিনি। যদিও ক্রিস্যানের মা প্রেমিলা পেরেইরার দাবি, তাঁর মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি রবি নামক এক ব্যক্তির কথাও সামনে আনেন। যিনি আন্তর্জাতিক এক সিরিজ়ে কাজের বিষয়ে যোগাযোগ করেন অভিনেত্রীর সঙ্গে।
অভিযোগ খতিয়ে দেখে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্তে জানতে পেরেছে যে অভিনেত্রীর প্রতিবেশীর সঙ্গে একটি কুকুর নিয়ে সামান্য বাগবিতণ্ডার জেরেই তাকে ফাঁসানোর জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়। অভিযুক্ত দুজনকেই গ্রেফতার করেছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। প্রথম অভিযুক্ত অ্যান্থনি পল, যিনি একটি বেকারির মালিক, আর দ্বিতীয় অভিযুক্ত রাজেশ বোবাতে, একটি ব্যাঙ্কের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার৷ ক্রাইম ব্রাঞ্চের সিনিয়র ইন্সপেক্টর দীপক সাওয়ান্ত জানান, অ্যান্টনি ক্রিস্যানের শারজাহ যাওয়ার টিকিট বুক করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি ফেরার একটি জাল টিকিটও অভিনেত্রীর হাতে তুলে দেন।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে অ্যান্টনির পরিবার এবং অভিনেত্রীর পরিবার মুম্বইয়ের বোরিভালিতে একই বহুতল আবাসনে থাকেন। কিছু দিন আগে, একটি কুকুর নিয়ে অভিনেত্রীর মায়ের সঙ্গে তার বোনের ঝগড়া হয়েছিল। এর পর অভিনেত্রীর মায়ের সঙ্গে অ্যান্টনির কথা কাটাকাটিও হয়। তারই প্রতিশোধ নিতে, অভিনেত্রীকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অভিনেত্রীকে শারজাহ’র জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভারতে ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, জানিয়েছেন মুম্বই পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মী গৌতম।