আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ সুদানে লড়াইরত দুই পক্ষের সম্মতিতে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে।
সোমবার মধ্যরাত থেকে তিন দিনের এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টোনি ব্লিঙ্কেন জানান, ৪৮ ঘণ্টার আলোচনার পর সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
সুদান থেকে এখন কূটনীতিক ও নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। কিন্তু যারা এখনও দেশটিতে আছেন, তাদের নিয়ে প্রতিটি দেশই চিন্তিত। এই ৭২ ঘণ্টায় তাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজে গতি পাবে।
১৫ এপ্রিল সংঘাত শুরুর পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলো বিবাদমান সুদানের সেনাবাহিনী ও দেশটির আধা-সামরিক র্যা পিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। আগের দুইবারের যুদ্ধবিরতির মধ্যেই চলেছে হামলা, বিস্ফোরণ ও গোলাগুলি। তবে এবার যুদ্ধবিরতি বাস্তবেই কার্যকর হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সুদানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই জেনারেলের দ্বন্দ্বে সহিংসতা শুরু হয় ১৫ এপ্রিল। এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের হামলা ও পাল্টা হামলায় কমপক্ষে চার শতাধিক লোক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন হাজারের বেশি। সহিংসতা শুরুর পর থেকে হাজার হাজার মানুষ সুদান ছেড়ে পালাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ চাদ ও মিশরের পথে রয়েছে বহু মানুষ। ফলে আফ্রিকায় আরও একটি শরনার্থী সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সুদানে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জেনারেলদের একটি কাউন্সিল দেশটি পরিচালনা করছে। এই কাউন্সিলের শীর্ষ দুই সামরিক নেতাকে ঘিরেই এই লড়াই। এরা হলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং দেশটির উপ-নেতা ও আরএসএফ কমান্ডার জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো।
এই দুই জেনারেল দেশটি পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু এক পর্যায়ে আগামীতে দেশটি কীভাবে পরিচালিত হবে এবং দেশটির বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাবনা নিয়ে এই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়।