১৯৭৬ সালে পরিচয়। তারপর সিলসিলার মতো একাধিক সিনেমায় একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। সেই থেকে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে মানুষের গুঞ্জনের অন্ত নেই। নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে তাঁরা কখনও মুখ না খুললেও বি টাউনের আনাচে কানাচে তাঁদের নিয়ে আলোচনা এখনও অব্যাহত। বুঝতেই পারছেন অমিতাভ বচ্চন এবং রেখার কথাই বলা হচ্ছে।
১৯৮৪ সালে ফিল্মফেয়ারের একটি সাক্ষাতকারে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন রেখা। সেখানে তিনি বলেন, তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে এক একজন এক একরকম কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি অমিতাভও সব সময় অস্বীকার করেছেন। কিন্তু অমিতাভ যা করেছেন তাঁর নিজের পরিবারের জন্য, নিজের স্ত্রীর জন্য এবং নিজের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য। তাই তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করে বিগ বি যা করেছেন, তা একেবারে ঠিক। কেন অন্য কাউকে জানাতে হবে, অমিতাভের উপর তাঁর ভালবাসার কথা। কিংবা তাঁর প্রতি অমিতাভের ভালবাসার কথা। এমন কথাও শোনা যায় রেখার গলায়।
শুধু তাই নয়, লোকে কী বলল না বলল, তাই দিয়ে কী হবে। অনেকেই তাঁকে বেচারি বলেও এর জন্য সম্মোধন করেন। বলেন, অমিতাভের উপর পাগল রেখা। লোকে যদি এমন কিছু বলে, বলুক না। তাতে তাঁর কিছু যায় আসে না বলেও স্পষ্ট জানান রেখা। পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, অমিতাভ এ কথা অস্বীকার করলে, লোকে তাঁকে করুনার চোখে দেখে। তাতে তাঁর কিছু আসে যায় না বলেও জানান রেখা।
পাশাপাশি বলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আরও বলেন, কেউ কষ্ট পাচ্ছেন, অমিতাভ বচ্চন কখনও তা সহ্য করতে পারেন না। স্ত্রীর কষ্ট কীভাবে সহ্য করবেন, এমন প্রশ্নও তোলেন রেখা।
প্রসঙ্গত, অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে রেখার সম্পর্ক নিয়ে যতই গুঞ্জন চলুক না কেন, ঐশ্বর্য কিন্তু উমরাওজান অভিনেত্রীকে বেশ পছন্দ করেন। বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে রেখাকে মা বলে সম্মোধন করতে দেখা যায় রাইকে। পাশাপাশি কখনও রেখাকে প্রণাম করে তাঁর হাত ধরে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নেমে আসতেও দেখা যায় বাচ্চন বাড়ির বউমাকে। যা নিয়ে কম গুঞ্জন হয়নি।